কল্পবিজ্ঞান আর শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের সমন্বয়ে অসামান্য সব লেখা উপহার দেয়া লেখকদের মধ্যে জুলভার্ন অন্যতম। সুদূর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বাস্তব ভিত্তিক কল্পনা সেই সাথে চমকপ্রদ সব যন্ত্রের বিবরণে পরিপূর্ণ তাঁর এই সব লেখাই তাঁকে কল্পবৈজ্ঞানের অন্যতম জনক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। উইকিপিডিয়ার হিসেবে সর্বাধিক অনূদিত হওয়া বইয়ের লেখকদের মধ্যে জুলভার্নের অবস্থান দ্বিতীয়। “টুয়েন্টি থাউজ্যান্ড লীগস আণ্ডার দ্যা সী”, “অ্যারাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেজ” ,“জার্নি টু দ্যা সেন্টার অব আর্থ” , “মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড” তাঁর লেখা জনপ্রিয় কিছু বই।
জুলভার্নের পুরো নাম জুল গ্যাব্রিয়েল ভার্ন (Jules Gabriel Verne)। ১৮২৮ সালে জন্মগ্রহণ করা ভার্নের পারিবারিক পেশা ছিল আইন। তাই তাঁকেও আইন নিয়েই পড়তে হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে মনোযোগ কখনোই দেয়া হয়নি তাঁরই। দু:সাহসিক সমুদ্র যাত্রা কিংবা বৈজ্ঞানিক সমিতির নিত্যনতুন আবিষ্কারগুলোই বরং তাঁকে লেখক জুলভার্ন হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। এমন সব বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কথা তিনি লিখে গেছেন, যা সে সময় নিতান্ত কাল্পনিক মনে হলেও পরবর্তী সময়ে ঠিকই আবিষ্কার হয়েছিল। জুলভার্নের কাহিনীতে উল্লেখ করা এমন কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার যেগুলো পরবর্তী সময়ে সত্যিই আবিষ্কার হয়েছে, তাই নিয়ে নিচে আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

বিদ্যুৎ চালিত ডুবোজাহাজ
জুলভার্নের অন্যতম জনপ্রিয় বই “টুয়েন্টি থাউসেন্ড লীগস আণ্ডার দ্যা সী” তে দেখা যায়, গল্পের মূল চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছেন তাঁর বিখ্যাত ডুবোজাহাজ “নটিলাসে” চড়ে। সেই ডুবোজাহাজ চলত সম্পূর্ণ তড়িৎশক্তিতে। সেই ডুবোজাহাজে থাকা এমন সব সুযোগ সুবিধার কথা ভার্ন লিখে গেছেন, যেগুলো বর্তমান সময়ের ডুবোজাহাজে কেবল থাকা সম্ভব। যেমনঃ খাবারের ঘর, বিলাসবহুল শোবার ঘর, বড় গ্রন্থাগার, বায়ুশোধনের জন্য যন্ত্র রাখার কক্ষ ইত্যাদি। অবাক করা বিষয় হল ১৮৭০ সালে যখন এই গল্প প্রকাশিত হয়, তখন সবেমাত্র যান্ত্রিকশক্তি চালিত ডুবোজাহাজের প্রচলন শুরু হয়েছে। ১৮৮৮ সালে সর্বপ্রথম তড়িৎশক্তি চালিত ডুবোজাহাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফরাসি ডুবোজাহাজ “জিমনোট”(Gymnote) যার সাথে ভার্নের লেখা নটিলাসের বেশ কিছু সাদৃশ্য ছিল।
এমাইটির প্রযুক্তি বিষয়ক ইতিহাসবিদ রোসালিন্ড উইলিয়াম এর মতে, এই উপন্যাসটি যখন লেখা হয়, সেই সময়ে তড়িৎশক্তি চালিত ইঞ্জিন কিংবা তড়িৎশক্তিকে ব্যবহার করে চলতে পারা ডুবোজাহাজের কল্পনা করতে পারা ছিল সত্যি বিস্ময়কর ব্যপার।

হেলিকপ্টার
আকাশের ওড়ার বিষয়ে জুলভার্নের আগ্রহের বিষয়ে জানা যায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস “ফাইভ উইক্স ইন এ বেলুন” থেকেই। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ১৮৬২ সালে তিনি উড়োজাহাজ সংক্রান্ত একটি সমিতির সদস্য হন। সেই সমিতির আলোচনা থেকেই তাঁর মাথায় খাঁড়া লম্ব ভাবে আকাশে উঠতে পারা আকাশযানের ধারনা আসে। “রোবার দ্যা কঙ্কারার” নামের উপন্যাসে ভার্ন উল্লেখ করেন এ ধরনের বিশেষ বিমানের কথা। গল্পের প্রধান চরিত্রকে দেখা যায় শক্তিশালী রোটোর আর পাখা সংযুক্ত বিশেষ আকাশযান আবিষ্কার করতে। এই গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালে। যদিও হেলিকটার সদৃশ আকাশে ওড়ার যন্ত্রের ধারনা জুলভার্ন প্রথম দিয়েছিলেন এমনটি নয়। কারণ লিনার্দো দ্যা ভিঞ্চির সময় থেকেই আকাশে উড়বার নানান যন্ত্রের চিত্র আঁকা শুরু হয়, যেগুলোর উপরেও ঘুরবার মতন পাখা রয়েছে। তবে জুলভার্ন নিজের এই কাল্পনিক হেলিকপ্টারের আকার-আকৃতি আর উড়বার যে কাল্পনিক ব্যখ্যা দিয়েছিলেন তা নিঃসন্দেহে ছিল তাঁর সময় থেকে অনেক বেশি আধুনিক।

আধুনিক যুগের সংবাদ পরিবেশন
কল্পনাশক্তি অনেকের থাকলেও যুক্তি দিয়ে কল্পনা করতে পারা মানুষের সংখ্যা নেহায়াতি কম। জুলভার্ন ছিলেন তেমনই একজন ব্যক্তি। তিনি “ইন দ্যা ইয়ার ২৮৮৯” নামের ছোট গল্পে জুলভার্ন উল্লেখ করেন, যে আধুনিকযুগের মানুষ তাজা খবর কষ্ট করে খবরের কাগজ থেকে পরবে না বরং খবর শুনবে। তিনি গল্পের বিবরণে উল্লেখ করেন যে, সংবাদপত্র থেকে মানুষ তখন অভ্যস্ত হয়ে পড়বে বেতারের মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদে। যেখানে আকর্ষণীয় আর মুখরোচক সব খবর ধারাবিবরনী আকারে শুনতে পাওয়া যাবে। ভার্ন এই ভবিষ্যতবাণী লিখেছিলেন ১৮৮৯ সালে। অথচ প্রথম বেতরের মাধ্যমে সংবাদবার্তা প্রচার শুরু হয় ১৯২০ সালে এবং এরও প্রায় ৩০ বছর পরে টেলিভিশনে সংবাদবার্তা প্রচার শুরু হয়। অর্থাৎ জুলভার্নের এই গল্প লিখে যাওয়ার প্রায় ৬০ বছর পরে!

ত্রিমাত্রিক ছবি
চলমান ত্রিমাত্রিক ছবির ধারনাটা বেশ আধুনিক। বিদেশি চলচিত্র কিংবা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেই সাধারণত এধরণের বিষয় আমরা দেখে থাকি। আধুনিক যুগের সূক্ষ্ম আর জটিল সব যন্ত্র যদিও ত্রিমাত্রিক ছবি প্রচার করতে পারে, কিন্তু এখনো এই প্রযুক্তি সাধারন মানুষের হাতের নাগালে আসেনি। অথচ জুলভার্ন সেই উনবিংশ শতকে হলোগ্রাফিক বা ত্রিমাত্রিক চলমান ছবির ব্যখ্যা দিয়েছেন তাঁর লেখা “ কারপেথিয়ান ক্যাসেল” এ।
এ গল্পে উল্লেখ করা হয় এমন এক গ্রামের কথা, যেখানে একটি রহস্যময় দুর্গ রয়েছে। দুর্গের আশেপাশে কোন গ্রামবাসী ভয়ে যেতে চায় না। কারণ সেখান থেকে অদ্ভুত সব শব্দ ভেসে আসে। সেই সাথে হেঁটে যেতে দেখা যায় ভৌতিক অবয়বকে।গল্পের শেষে জানা যায় যে, রহস্যময় সেই দুর্গ আসলে বসানো ছিল ত্রিমাত্রিক চলমান ছবি দেখানোর বিশেষ যন্ত্র। যার মাধ্যমে মানুষের ছবি ত্রিমাত্রিকভাবে রেকর্ড করে রাখা সম্ভব। এবং চাইলেই ছায়াছবির মত সেই ছবি প্রদর্শনও করা সম্ভব।

সৌর-পাল
আধুনিক বিশ্বে নবায়নযোগ্য শক্তি হিসেবে সৌর শক্তির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে এই শক্তির উপর নির্ভরশীল যন্ত্রপাতিও। কিন্তু আজ থেকে প্রায় দেড়শ বছর আগেকার একজন লেখকের এ বিষয়ে লিখে যাওয়াটা বিস্ময়করই বটে। “ফর্ম দ্যা আর্থ টু দ্যা মুন” উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশ হয় ১৮৬৫ সালে। সেখানে জুলভার্ন উল্লেখ করেন সূর্যের আলোক শক্তিকে ব্যবহার করে চলা মহাকাশযানের কথা। সৌরপালের মাধ্যমে সূর্যের আলো সংগ্রহ করে মহাকাশযানের নানান কাজে ব্যবহারের উল্লেখ করেন তিনি। বর্তমান বিশ্বে মহাকাশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সত্যিই এই সৌরপাল মহাকাশযানের জ্বালানীর অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

চন্দ্রযান
বিগত শতাব্দীতে করা মানুষের চন্দ্র অভিযানকে শতাব্দীর অন্যতম সাফল্য হিসেবে দেখা হয়। ১৯৭০ সালে অ্যাপোলো ১৩ মিশনের মাধ্যমে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়। কিন্তু কলনায় সেই দৌড়ে অনেক আগেই চন্দ্র অভিযান করে এসেছেন জুলভার্ন। ১৮৬৫ সালে প্রকাশ পাওয়া তাঁর বই “ফ্রম দ্যা আর্থ টু দ্যা মুন” এ তিনি উল্লেখ করেছিলেন তিন আমেরিকান অভিযাত্রীর কথা যারা চন্দ্রযানে চেপে চাঁদে অবতরণ করেছিল। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, এই গল্পে লেখার প্রায় ১০৪ বছর পর যখন মানুষ সত্যিই চাঁদে অবতরণ করে সেই চন্দ্র অভিযানেও ছিলেন তিনজন আমেরিকান অভিযাত্রী। মিলের শেষ এখানেই নয়। জুলভার্নের লেখা চন্দ্রযানে ত্রিকোণ অগ্রভাগ সম্পন্ন বিশেষ কক্ষের কথা উল্লেখ ছিল যেখানে নভোযাত্রীরা অবস্থান করবে। মহাকাশে পাঠানো অনেক যানের মাথা সত্যি ত্রিকোণাকার সূচলো হতে দেখা যায়।
“ফ্রম দ্যা আর্থ টু দ্যা মুন”এ চন্দ্রযান উৎক্ষেপণের ব্যখ্যা দিয়ে ভার্ন বলেছিলেন যে, সে বিস্ফোরণ এতোটাই শক্তিশালী হয়েছিল যা কিনা মহাকাশ থেকেও দেখা যাবে। ১৯৭০ সালে অ্যাপোলো ১৩ মিশনের উৎক্ষেপণের সময় কিছু কারিগরি ত্রুটির কারনে সত্যিই বিশাল এক বিস্ফোরণ হয়। যা ৩০০,০০ কিলোমিটার (২০০.০০ মাইল) দূরে অবস্থিত জনসন স্পেসস্টেশন থেকে দেখা গিয়েছিল।
এমআইটির বিশেষজ্ঞ উইলিয়ামের মতে, জুলভার্ন সবসময় চাইতেন বাস্তব সম্মত উপায়ে কাল্পনিক বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ব্যখ্যা দিতে, যাতে সেগুলো বাস্তব সম্মত মনে হয়। তিনি আরেক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক এইচ জি ওয়েলসের মত ধোয়াটে বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা দিতে পছন্দ করতেন না।

মহাকাশযানের সমুদ্র–অবতরণ
জুলভার্নের কল্পনার দৌড় মানুষকে কেবল চাঁদে পাঠিয়েই শেষ হয়নি। একজন বিজ্ঞান ভিত্তিক লেখকের নিজের ভেতরো একজন পাঠক কাজ করে। যে কিনা কল্পকাহিনীরও মানসম্মত সমাপ্তি খুঁজতে চায়। হয়তো সেই কারনেই “ফ্রম দ্যা আর্থ টু দ্যা মুন” এর পরবর্তী বই “রাউন্ড দ্যা মুন” এর শেষে অভিযাত্রীদের পৃথিবীতে ফিরে আসার ব্যখ্যাও তিনি দিয়েছেন সুনিপুণ ভাবে। মহাশূন্য থেকে পতনের সময় অত্যাধিক তাপমাত্রা সেই সাথে ভয়ানক গতির কারনে মহাকাশযান কে সমুদ্রে অবতন করানোই শ্রেয় মনে করেছিলেন ভার্ন। সত্যিকার চন্দ্রভিজান শেষে নাসার অভিযাত্রিরাও পৃথিবীতে অবতরণের জন্যে সমুদ্রকেই বেছে নিয়েছিল।

আকাশ বিজ্ঞাপন
জুলভার্ন নিজের চারিদিকে যা কিছু আছে সবই সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষন করতে ভালোবাসতেন। আশেপাশের সাধারন জিনিষগুলোতেও ভবিষ্যতে কি ধরনের পরিবর্তন হতে পারে এ নিয়ে লিখতে আগ্রহী ছিলেন তিনি। “ইন দ্যা ইয়ার ২৮৮৯” ছোট গল্পে তেমনই এক ব্যখ্যা পাওয়া যায়। বিমানের সাহায্যে আকাশের গায়ে লিখে পণ্যের বিজ্ঞাপন করার অভিনব ব্যবস্থার কথা লিখেছিলেন তিনি
পত্র-পত্রিকায়, ইটারনেটে বা সরাসরি, নানা যায়গায় এই আকাশ বিজ্ঞাপনের ছবি আমরা সবাই কমবেশি দেখেছি। বিমানের সাহায্যে রঙ্গিন মেঘের মত বিশেষ পদার্থ আকাশে ছিটিয়ে তৈরি করা লেখা বেশ অনেক্ষন আকাশে ফুটে থাকে। এ সব বিজ্ঞাপনের লেখা এতোটাই বড় হয় যে, পুরো এলাকা এমনকি পুরো শহরের যে কোন যায়গা থেকেও তা চোখে পরতে পারে।

ভিডিও কনফারেন্স
যোগাযোগের বিস্ময়কর পন্থা সম্পর্কেরও লিখে গেছেন জুলভার্ন। “ইন দ্যা ইয়ার ২৮৮৯” গল্পে আরও অনেক কাল্পনিক ধারনার সাথে তিনি “ফোনোটেলিফোন” এর কথাও লিখে গেছেন। এই যন্ত্রের ব্যখায় ভার্ন উল্লেখ করেন, এমন বিশেষ ধরনের আয়নার কথা যার মধ্যে অন্য কোথাও অবস্থান করা মানুষের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। সেই সাথে একই যন্ত্রের মাধ্যমে কথাও বলা যায়। এই আয়নাগুলো একটি অপরটির সাথে তারের মাধ্যমে যুক্ত।
Technovelgy.com ওয়েব সাইটের ভাষ্যমতে, জুলভার্নই এই যন্ত্রের ধারনার জন্ম দেয়া প্রথম লেখক নন। কিন্তু তারপরও বাস্তবের ভিডিও করনফারেন্সিং আবিষ্কারের বহু বছর আশয়ী বিষয়ে ধারনার খোরাক দেয়া প্রথম মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে জুলভার্ন ছিলেন সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

বিদ্যুৎ নিক্ষেপক অস্ত্র
ভবিষ্যতের যানবাহন নিয়ে কল্পনা করা আর সে বিষয় নিয়ে লেখা যদিও জুলভার্নের অন্যতম পছন্দের বিষয় ছিল, কিন্তু অস্ত্রের বিষয়েও তিনি কম পারদর্শী ছিলেন না। তাঁর লেখা জনপ্রিয় উপন্যাস “টুয়েন্টি থাউসেন্ড লিগস আণ্ডার দ্যা সী” তে এমন এক অস্ত্রের কথা তিনি উল্লেখ করেন যা শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ঝাঁকুনির মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সক্ষম ছিল। আধুনিক যুগের অস্ত্র Taser (ছবিতে দেয়া) এর সাথে গঠন এবং কাজে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে ভার্নের লেখা সেই অস্ত্রের। ভার্ন অস্ত্রের ব্যখ্যায় আরো উল্লেখ করেন, এর বুলেট কোন সাধারন বুলেট নয় বরং কাচের তৈরি বিশেষ ধরনের গোলোক। যেখানে মেশানো আছে ইস্পাত আর সীসা, যার মাধ্যমে সৃষ্টি হবে স্থিতিবিদ্যুৎ শক্তি। এর ঝাঁকুনি এতটাই শক্তিশালী হবে যা কিনা শক্তিশালী যে কোন প্রানি কিংবা মানুষকে খুব সহজেই ধরাশায়ী করতে পারবে।

জুলভার্ন তাঁর অসাধারণ লেখনি এবং উদ্ভাবনী মানসিকতার বিস্ময়কর বিবরণীর মাধ্যমে আজও লাখো পাঠকের মন জয় করে চলেছেন। অপেক্ষায় থাকবো নতুন ভাবে মুগ্ধ হতে, প্রতিভাবান এই লেখকের বিস্ময়কর ব্যখার বাস্তবে হওয়া নতুন কোন আবিষ্কারের।
জুল ভার্ন এর বই সমূহ
একটু অতিরিক্ত ছাড় পেতে, ক্লিক করুন