মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ- এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান এ শব্দযুগলের মাঝে। তৃতীয় বিশ্বের একটি সাধারণ দেশ হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম সেরা সেনাবাহিনীকে হারিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করা চাট্টিখানি কথা ছিল না। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা মাত্র সাড়ে নয় মাসেই সাত কোটি মানুষের মুক্তির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তাই বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জীবনের যেসব ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করেছে, তার মাঝে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হলো সাহিত্য। বাংলা সাহিত্য প্লাবিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নবজোয়ারে। অসংখ্য কবিতা, উপন্যাস, নাটক রচিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে। তার মধ্যে সাতটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস নিয়ে আজ কথা হবে, যেগুলো আপনাকে গতানুগতিকতার বাইরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে।
৭) আগুনের পরশমণি – হুমায়ূন আহমেদ
‘আগুনের পরশমণি‘ মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা মৌলিক উপন্যাসগুলোর একটি। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাসগুলোর মাঝে এটি একটি জনপ্রিয় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
‘আগুনের পরশমণি‘ উপন্যাসে মূলত অবরুদ্ধ শহরের এক সাদাসিধে গৃহস্থালি পরিবারের ঘটনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর মূল চরিত্র মতিন সাহেব ও তার পরিবার। দুই কন্যা, স্ত্রী ও কাজের মেয়ে বিন্তিকে নিয়ে মতিন সাহেবের পরিবার। হঠাৎ তার পরিবারে আগন্তুক হিসেবে আগমন ঘটে বদি নামক এক যুবকের।

বদি একজন গেরিলা যোদ্ধা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় সে অপারেশন চালায়। নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মতিন সাহবের স্ত্রী বদির অবস্থানের ঘোর বিরোধী ছিলেন। কিন্তু উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহে ধীরে ধীরে বদি পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে যায়। শুরুতে সফলতা লাভ করলেও ধীরে ধীরে তার সহযোগীরা পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে মৃত্যুবরণ করতে থাকে।
একসময় বদির অন্যতম সহযোদ্ধা রাশেদুল করিম পাক হানাদারদের নৃশংসতার মুখেও দৃঢ়তার পরিচয় দেয় এবং করুণ পরিণতি বরণ করে। শেষপর্যন্ত বদিও আহত হন পাক হানাদারের গুলিতে। তার পরিণতি ও মতিন সাহেবের পরিবারের আকাঙ্ক্ষা এই উপন্যাসের ক্লাইম্যাক্স।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহের মধ্যে ‘আগুনের পরশমণি‘ সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর একটি। এর কাহিনীর উপর ভিত্তি করে ১৯৯৪ সালে ‘আগুনের পরশমণি‘ চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ছবিটি মোট আটটি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশপ্রেমিক এক পরিবারের ভাবনা ও বর্তমান যুবসমাজের প্রতি পাঠানো বার্তা পাঠককে প্রভাবিত করবেই।
৬) গ্রামের নাম কাঁকনডুবি – মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
বাংলাদেশে উত্তর-আধুনিক যুগের লেখকদের মধ্যে জাফর ইকবালের নাম সবার উপরেই থাকবে। ‘গ্রামের নাম কাঁকনডুবি‘ উপন্যাসটি মূলত তার লেখা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ উপন্যাস। এই উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পরিবারের শিশু ও মহিলাদের অবস্থান দক্ষ হাতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

উপন্যাসটির মূল চরিত্র রঞ্জু নামের এক বালিকা। কাঁকনডুবি গ্রামে সে তার নানীর সাথে থাকে, কারণ তার বাবা-মা গত হয়েছে অনেক আগেই। রঞ্জুর প্রাইমারি স্কুলে একদিন মাসুদ নামে একজন নতুন শিক্ষক আসেন। আদতে শিক্ষক হলেও তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ‘মাসুদ ভাই‘। পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চাদের দেশপ্রেমের দীক্ষাও দিতেন।
এরই মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। শহরে যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করা কাজীবাড়ির বড় ছেলের পরিবার পালিয়ে গ্রামে চলে আসে। তাদের গ্রামে আসার পর গ্রামে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ঘটনার ধারাবাহিকতায় রঞ্জুর স্কুলটি পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিতে পরিণত হয়। রঞ্জু বয়সে ছোট হলেও বুঝতে পারে যে, পাকিস্তানি বাহিনী সংখ্যালঘু, বিশেষত হিন্দুদের প্রতি বেশি হিংস্র। তাই সে হিন্দুদের গ্রাম থেকে পলায়নে মূল ইন্ধনদাতার ভূমিকা রাখে। পরবর্তীতে এই রঞ্জুই হয়ে ওঠে মুক্তিযোদ্ধা ‘খোকন’।
এই উপন্যাসের শেষাংশে বীরাঙ্গনা নারীর যন্ত্রণা সূক্ষ্মভাবে ফুটে উঠেছে। একজন বীরাঙ্গনা তীব্র যাতনায় বলে ওঠেন,
“তোমাদের যুদ্ধ শেষ, আমাদের যুদ্ধ মাত্র শুরু।“
‘গ্রামের নাম কাঁকনডুবি‘ উপন্যাসটি মুক্তিযুদ্ধে নারীশক্তির গৌরবকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। একইসাথে, মুক্তিযুদ্ধকালে গ্রামের একজন সাধারণ বালিকা কীভাবে অবচেতন ও সত্ত্বাগতভাবে একজন যোদ্ধা হয়ে ওঠে তার অসাধারণ কৃতিত্ব ফুটে উঠেছে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘গ্রামের নাম কাঁকনডুবি‘ উপন্যাসে।
৫) মা – আনিসুল হক
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এক অমর কীর্তি এই উপন্যাস। উপন্যাসটি একজন মাকে কেন্দ্র করে লেখা, যেখানে ছেলের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসা ও কঠোর সংগ্রামের সম্মিলনে কাহিনী ফুটে উঠেছে। মায়ের হার না মানার মানসিকতা এই উপন্যাসকে আর দশটি উপন্যাস থেকে আলাদা করেছে।

একাত্তরের সেপ্টেম্বর মাসের কোনো এক সময়। দেশ স্বাধীন করার জন্য ছেলে যুদ্ধে যেতে চায়। মমতাময়ী মা সাফিয়া বেগম ছেলেকে ‘না’ করতে পারে না। যুদ্ধকালে একদিন পাকিস্তানি সৈন্যদের কাছে বন্দী হয় মুক্তিযোদ্ধা আজাদ। বন্দী আজাদকে মা দেখতে গেলে ছেলে তার মাকে তার উপর নির্মম অত্যাচারের কথা জানায়। তখনই মায়ের মুখ থেকে বের হয় এক অমোঘ বানী,
“বাবা রে, যখন মারবে তুমি শক্ত হয়ে থেকো। সহ্য কোরো। কারো নাম যেন বলে দিও না।”
শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম ঢাকার প্রভাবশালী একজন ব্যক্তির স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু অহংকারী ছিলেন না, ছিলেন আত্মমর্যাদাবান। স্বামী দ্বিতীয়বার বিয়ে করলে ছেলেকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন প্রার্চুযের মহল থেকে। জীবন চলার জন্য নিজেই যুদ্ধক্ষেত্র গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধ আরও দুর্বিষহ করে তোলে সাফিয়া বেগমের জীবন।
ছেলের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে না পারায় স্বাধীনতার ১৪ বছর পর মৃত্যুর আগপর্যন্ত ভাত না খেয়ে, মাটিতে শুয়ে জীবন কাটিয়েছেন মা সাফিয়া বেগম। ছেলে হারানোর বেদনা একজন মায়ের কাছে ঠিক কতটা আঘাত করতে পারে, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘মা‘ উপন্যাসে।
পাঠকদের জন্য এতটুকু বলা অতিশয়োক্তি হবে না যে, ‘মা’ উপন্যাসটি পড়তে পড়তে কখন দু’চোখ দিয়ে যেমন জল গড়িয়ে পড়বে টেরই পাবেন না। আবার কখনও শহীদ জননীর জীবনে হার না মানার চেতনার বর্ণনায় গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যাবে।

৪) হাঙ্গর নদী গ্রেনেড – সেলিনা হোসেন
‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড‘ প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন রচিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি উপন্যাস৷ এই উপন্যাসটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত। পরবর্তীকালে এই উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়।
হলদিগাঁ গ্রামের এক চঞ্চল কিশোরীর নাম ‘বুড়ি‘। ছোটবেলা থেকেই সে দুরন্ত স্বভাবের অধিকারী। কিন্তু সমাজের নির্মম প্রথানুযায়ী সে বাল্যবিবাহের শিকার হয় এবং অকালে গর্ভধারণ করতে বাধ্য হয়।
যুদ্ধ শুরু হলে বুড়ির সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানীরা। একদম শেষে গিয়ে বুড়ি এক অদ্ভুত দোটানার শিকার হয়। দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে নিজের শেষ সন্তানকে হানাদারদের হাতে তুলে দিতে হয়। হানাদাররা নৃশংসভাবে তার সন্তানকে হত্যা করে। কিন্তু সন্তানের মৃত্যুতে বুড়ি দমে যায়নি। পুত্রশোক তার চেতনাকে অমিয় তেজে প্রজ্বলিত করে।
সেলিনা হোসেনের গদ্যের শৈলী অনবদ্য। তার উপন্যাসগুলোর বর্ণনাভঙ্গি সাবলীল। মুক্তিযুদ্ধের সময় হাজার হাজার গ্রামীণ পরিবারের দুর্ভোগ সম্পর্কে জানতে এই উপন্যাসটি অবশ্যই পড়া উচিত।

৩) নিষিদ্ধ লোবান – সৈয়দ শামসুল হক
বাংলা সাহিত্যে মুক্তিযুদ্ধকে সফলভাবে নিয়ে আসা মানুষদের মাঝে সৈয়দ শামসুক হক একজন। ভাসা ভাসা গতানুগতিক বর্ণনা নয়, বরং গভীরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের জনমানুষের অনুভূতিকে কালির আঁচড়ে উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন। ‘নিষিদ্ধ লোবান‘ তাঁর ঠিক তেমনই একটি অমর উপন্যাস।
নিষিদ্ধ লোবানের পটভূমি একাত্তরের থমথমে সময়। উপন্যাসের কাহিনী আবর্তিত হয়েছে তিনটি চরিত্রকে ঘিরে। বিলকিস, সিরাজ ওরফে প্রদীপ ও এক পাকিস্তানি মেজর– মূলত এই তিন চরিত্রের মাধ্যমেই উপন্যাসের কাহিনী বাঁক বদলিয়েছে বারবার।
বিলকিস পরিবারের খোঁজে ঢাকা থেকে জলেশ্বরী আসতে চেয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে তাকে ট্রেন থেকে তার গন্তব্যের আগেই নেমে যেতে হয়। বাকি রাস্তা হেঁটে আসতে তার সাথে পরিচয় ঘটে প্রদীপ নামের একজন হিন্দু তরুণের, যে পরবর্তীতে নাম পাল্টে ‘সিরাজ‘ হয়ে যায়। গ্রামে গিয়ে বিলকিস জানতে পারে তার ভাইকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদারেরা। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ফতোয়া জারি করেছে যে লাশ কবর দেওয়া যাবে না। ভাইয়ের লাশকে কবরস্থ করার নতুন সংগ্রাম শুরু হয় বিলকিসের।
উপন্যাসে পাকিস্তানি হানাদারদের প্রচন্ড নির্মমতার যে বর্ণনা সৈয়দ শামসুল হক দিয়েছেন, তা বাংলা সাহিত্যে অভূতপূর্ব। পাকিস্তানি হানাদারেরা বাঙ্গালি নারীদের কত নিচু দৃষ্টিতে দেখতো, সেই বর্ণনা পড়লে আপনি আবেগাপ্লুত হয়ে যেতে বাধ্য। মাত্র একাত্তর পৃষ্ঠার এই উপন্যাসে সৈয়দ শামসুল হক যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের কঠিন সময়কে তুলে ধরেছেন, পাঠকেরা নিশ্চিতভাবেই সেটা অনেক দিন মনে রাখবেন।

২) ক্রাচের কর্ণেল – শাহাদুজ্জামান
ক্রাচের কর্ণেলকে বলা যায় একটি ব্যক্তিজীবন নির্ভর ইতিহাস-আশ্রয়ী উপন্যাস। পুরো উপন্যাসের ঘটনাগুলো বর্ণিত হয়েছে একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত কর্ণেল তাহেরের জীবনকে উপজীব্য করে। কর্ণেল তাহের নিঃসন্দেহে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের একজন আলোচিত ব্যক্তি।
স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে যে কয়েকজন যুবক সাম্যভিত্তিক বাঙ্গালি সমাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন, কর্ণেল তাহের তাদের মাঝে অন্যতম। ভাগ্যবিড়ম্বনা ও নানা ঘটনার ঘাত প্রতিঘাতে তিনি কারও কাছে একজন নায়ক, কারও কাছে একজন দুর্ভাগা সেনানী।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নানাসময়ে বিভিন্ন রকম ধোঁয়াশা তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি কখনও কখনও প্রকৃত ইতিহাসও মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধানীদের নির্ভরযোগ্য বইয়ের তালিকায় অনায়াসেই স্থান পাবে এই উপন্যাসটি।
শাহাদুজ্জামান এই সময়ের একজন শক্তিমান গদ্যকার। তার আলাদা পাঠকসমাজ রয়েছে। ক্রাচের কর্ণেলে শাহাদুজ্জামানের সাবলীল বর্ণনা এই উপন্যাসটিকে অনন্য করে তুলেছে।

১) উপমহাদেশ – আল মাহমুদ
আল মাহমুদের প্রধান পরিচয় তিনি একজন কবি। তার কাব্যগ্রন্থগুলো বাংলা সাহিত্যে বহুল পঠিত। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধের উপর দুটি উপন্যাসও লিখেছেন। তার মধ্যে একটি হলো ‘উপমহাদেশ‘।
মুক্তিযুদ্ধ আসলে সেই সময়ের পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয় ছিল না। উপন্যাসেও কবি শুধু বাংলাদেশের মধ্যে কাহিনীকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাই উপন্যাসের নাম ‘উপমহাদেশ‘ রাখার পেছনে যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
উপমহাদেশের মূল চরিত্র হাদী মীর, যিনি একইসাথে একজন গ্রন্থাগারিক ও কবি। পাকিস্তানীদের বর্বরতায় দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। ঘটনার নাটকীয়তায় তার সাথে পরিচয় হয় নন্দিনী ও সোমা নামের দুজন হিন্দু যুবতীর সাথে। পরবর্তীতে সোমা গুলির আঘাতে নিহত হয়, আর কবি হাদী মীরের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নন্দিনী। এভাবে ঘাত-প্রতিঘাতে এগোতে থাকে উপন্যাসের কাহিনী। কবির স্ত্রী হামিদাও উপন্যাসের অন্যতম আলোচিত চরিত্র।
উদ্বাস্তু মানুষদের নিয়ে লেখা উপন্যাস একদিক থেকে অন্যান্য উপন্যাস থেকে আলাদা। শুধু কল্পনাশক্তির প্রয়োগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের অনেক কিছুই আল মাহমুদ হুবুহু উপন্যাসে লিখেছেন। উদ্বাস্তুদের দুঃখ-কষ্ট, তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম সম্পর্কে জানতে এই উপন্যাসটি হতে পারে পাঠকদের প্রথম পছন্দ।
comments (0)