মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এদেশে ধর্মের চর্চা আগেও ছিল এবং এখনও তা বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। শিক্ষিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের মনে ধর্ম নিয়ে জানারও একটি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে দিন দিন যা লাইব্রেরি বা অনলাইন বইয়ের সাইট গুলোর ধর্মীয় বই বিক্রির হার দেখলেই বোঝা যায়। সেই সাথে অসাধারণ কিছু লেখক উপহার দিয়ে চলেছেন নতুন নতুন সব অসাধারণ ধর্মীয় বই। ধর্মকে আরও সহজভাবে বোঝাতে মাতৃ ভাষায় বিদেশী প্রখ্যাত লেখকগণের বই অনুবাদ উপহার দিয়ে চলেছেন আবার এদেশের লেখকগণও পাঠকদের সমৃদ্ধ করছেন। আজকের ব্লগটি দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন বুকশপ রকমারিতে গত নভেম্বর মাসজুরে বিক্রির শীর্ষে থাকা টপ ১০ টি ধর্মীয় বই নিয়ে।
তবে চলুন দেখে নেয়া যাক টপ বইগুলো !

১০। সহীহ মাসনূন ওযীফা
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
প্রথমত, বিশুদ্ধভাবে তাওহীদ ও রিসালতের উপর ঈমান আনুন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ী ও তাবেয়ীগণের আকীদা বা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা যা ইমাম আবু হানীফার (রহ) “ফিকহুল আকবার”, ইমাম তাহাবীর (রহ) “আকীদায়ে তাহাবীয়া” ও অন্যান্য প্রাচীন ইমামগণের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থসমূহে লিপিবদ্ধ রয়েছে সে অনুসারে নিজেদের আকীদা গঠন করুন। পরবর্তী যুগের বিদ‘আত ও বানোয়াট আকীদা বর্জন করুন। সাথে সাথে সকল প্রকার শিরক, কুফর, বিদ‘আত ও ইলহাদ থেকে আত্মরক্ষা করুন। দ্বিতীয়ত, সকল প্রকার হারাম উপার্জন পরিহার করুন। ফরয ইবাদত বিশুদ্ধভাবে পালন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন। সকল কবীরা গোনাহ ও হারাম বর্জন করুন। কোনো মানুষ অথবা প্রাণীর হক বা অধিকার নষ্ট করা বা ক্ষতি করা বিষবৎ পরিত্যাগ করুন। তৃতীয়ত, মনকে হিংসা, ঘৃণা, বিদ্বেষ, অহংকার, আত্মতৃপ্তি, জাগতিক সম্মান, প্রতিপত্তি বা টাকা-পয়সার লোভ থেকে যথাসম্ভব পবিত্র রাখার জন্য সর্বদা সতর্কতার সাথে চেষ্টা করুন। এজন্য সর্বদা আল্লাহর দরবারে তাওফীক চেয়ে কাতরভাবে দু‘আ করুন। প্রয়োজন ছাড়া মানুষের সাথে হাসি তামাশা বা গল্পগুজব যথাসম্ভব কম করুন। চতুর্থত, নফল ইবাদত বেশি বেশি পালনের চেষ্টা করুন। মানুষের সেবা, উপকার ও সাহায্য জাতীয় কাজ যথাসম্ভব বেশি করুন। নফল সালাত যথাসম্ভব বেশি আদায়ের চেষ্টা করবেন। বিশেষত তাহাজ্জুদ, ইশরাক ও মাগরিবের পরে কিছু নফল সালাত (আওয়াবীন নামে পরিচিত) সর্বদা পালন করবেন।

৯। ছোটদের মহানবী (সা.)
ইকবাল কবীর মোহন
ছোটোদের মহানবী (সা) একটি অসাধারণ বই। আপনি যদি আপনার সন্তানদের রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে সহজে জানাতে চান তবে এই বইটি খুব ভালো হবে। মহানবী (সাঃ) কখন দুনিয়ায় এলেন, সেদিন কার সকালের পরিবেশ কেমন ছিল, মহানবী (সাঃ) এর মা, বাবা ও দাদার নাম কি ছিল, জিবরাইল (আ) মা আমিনাকে কি বলেছিলেন, আরবে তখন কি রেওয়াজ প্রচলিত ছিল, মহানবীকে (সাঃ) লালন-পালনের জন্য কার কাছে দেয়া হল, মহানবী (সাঃ) এর কারনে হালিমার পরিবারে কি পরিবর্তন এলো, মহানবী (সাঃ) এর মা ও বাবা কখন ইন্তেকাল করেন, বালক মুহাম্মদ (সাঃ) মেষ চড়াতে গিয়ে একাকী কী ভাবতেন? আরও অনেক অনেক বিষয় যা আপনার সন্তান জানতে পারবে। প্রত্যেকটি বিষয় সহজে মনে রাখতে পারে এমন করে উপস্থাপন করা হয়েছে বইটিতে।

৮। প্রোডাক্টিভ মুসলিম
মোহাম্মদ ফারিস
‘প্রোডাক্টিভ মুসলিম’ একটি আত্মোন্নয়নমূলক বই। বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে—আত্ম-জাগরণ, আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের বিভিন্ন দিক নিয়ে জীবনঘনিষ্ট আলোচনার আসর। এতে আছে স্রষ্টার দেওয়া অমূল্য উপহার—আমাদের মেধা সময় ও শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিগঠন, ক্যারিয়ার উন্নয়ন এবং সামাজসেবামূলক কর্মোদ্যোগের মধ্য দিয়ে নিজেকে এক নতুন পৃথিবীর স্বপ্নদ্রষ্টা এবং একনিষ্ঠ কারিগর হিসেবে গড়ে তোলার বাস্তবধর্মী কর্মকৌশল।
লেখক কুরআনের রত্নভান্ডার, নবিজির সুন্নাহর মুক্তো-প্রবাল থেকে শুরু করে Dr John Ratey, Graham Allcott সহ আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান এবং ব্যবসায়িক কর্মকৌশলের অসাধারণ সব তথ্য ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন বইটিতে।
ইসলামের শাশ্বত শিক্ষা এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের মিশেলে রচিত এই বইটিতে যে প্রোডাক্টিভ লাইফ-স্টাইলের মডেল তুলে ধরা হয়েছে, তা একজন মানুষকে পার্থিব জীবনের সাফল্যের শেকড় ছুঁয়ে দিয়ে নিজেকে পরকালীন জীবনের শিখরে পৌঁছে দিতে এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাবে। বিশেষভাবে এই বইটি থেকে জানতে পারবেন :
* কীভাবে স্পিরিচুয়াল প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করবেন
* কীভাবে ঘুম, পুষ্টি ও ফিটনেস নিয়ন্ত্রণ করবেন
* কীভাবে ব্যক্তিগত জীবনের বাইরে সামাজিক পরিমণ্ডলেও প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠবেন
* কীভাবে ব্যক্তিজীবন, সামজিক জীবন, ক্যারিয়ার এবং দ্বীন-দুনিয়ার মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে চলবেন
* মানসিক বিচ্ছিন্নতা এড়িয়ে কীভাবে আপন লক্ষ্যে ফোকাস ঠিক রাখবেন
* কীভাবে প্রোডাক্টিভ হ্যাবিট গড়ে তুলবেন এবং ইফেক্টিভ রুটিন তৈরি করবেন
* কীভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার করে দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালের জীবনকে সমৃদ্ধ করবেন
* রমাদানে কী করে প্রোডাক্টিভিটি বজায় রাখবেন ইত্যাদিসহ আরও অনেক কিছু।
এই বইটি কি কেবল মুসলিমদের জন্য প্রযোজ্য?
* বইটি বিশেষত মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে লেখা হলেও মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে এ থেকে উপকৃত হতে পারবে। এই বইয়ে আলোচিত—আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য কী? মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব; মানুষ, সৃষ্টিকর্তা এবং মহাবিশ্বের আন্তঃসম্পর্ক; মানবজাতির প্রতি আমাদের দায়বোধ; পৃথিবীর কাছে ঋণস্বীকার—এসব কমন ভ্যালুজ আমাদের প্রত্যেকের জানা দরকার, যেন বৃহত্তর মানবিক স্বার্থে একটি বসবাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে পারি।
* অন্যান্য প্রোডাক্টিভিটি বইয়ের তুলনায় এর বিশেষত্ব কী?
* ‘দেহের একটি আত্মা আছে—বিষয়টি এমন নয়, আসলে আমাদের ‘আত্মার জন্য এ-দেহটি। সৃষ্টি হিসেবে মানুষ যতটা-না দৈহিক, তার চেয়ে বেশি আত্মিক। পশ্চিমা ধ্যানধ্যারণার আলোকে প্রোডাক্টিভিটি কিংবা পার্সোনাল ডেভেলপমেন্টের ওপর লিখিত যাবতীয় বইয়ের প্রধান দুর্বলতা—এই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতার মতো একটি শাশ্বত সত্যকে এড়িয়ে যাওয়া ।
*আমাদের দেহ দুর্বল, ভঙ্গুর ও পঁচনশীল। পক্ষান্তরে আমাদের আত্মা হলো শাশ্বত। তাই আত্মা ও আধ্যাত্মিকতাকে অস্বীকার করে যে কর্মকৌশল দাঁড় করানো হয়, তাতে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু সফলতা অর্জিত হলেও, জীবনের বৃহত্তর সফলতার প্রশ্নে তা চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। এ জন্য মানবসত্তার পূর্ণ বিকাশ এবং দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী সফলতার জন্য দরকার এমন এক অত্যুজ্জ্বল জীবনদৃষ্টি ও কর্মকৌশল, যা একজন মানুষকে দুনিয়াতে প্রেডাক্টিভ হওয়ার পাশাপাশি অনন্তকালের পরকালীন জীবনের ব্যাপারেও প্রোডাক্টিভ হতে সাহায্য করতে পারে। এই এখানটাতে প্রোডাক্টিভ মুসলিম বইটি এই ইন্ডাস্ট্রির পশ্চিমা ধারার আর-সব বই থেকে আলাদা এবং এক অপার্থিব স্বকীয়তায় উজ্জ্বল।

৭। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২
আরিফ আজাদ
ঘুটঘুটে অন্ধকার! সেই অন্ধকার গ্রাস করে আছে সবকিছু। এমন সময় কোথা থেকে যেন ছুটে আসে এক উষ্ণ আলােক রশ্মি। সেই আলাের পরশে নিমিষেই মিলিয়ে যায় অন্ধকার রাত। প্রভাতী কিরণের মতােই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এই আলােক রশ্মি। যাত্রা হয় এক নতুন দিনের, নতুন সময়ের। এমনই আবহে সত্য ও পবিত্র পথের সন্ধানে দুঃসাহসিক অভিযাত্রার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায় সাজিদ-আর অবিশ্বাসের দেয়ালে গেঁথে যায় বিশ্বাসের। কথামালা। ভেঙে পড়ে অবিশ্বাসের দেয়াল। নির্মিত হয় সত্যের ইমারত। সত্য আর শুভ্রতার সেই গল্পে আপনিও একজন অংশীদার…।

৬। রাহে বেলায়াত
আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের পথ ও রাসূলুল্লাহর (সা) যিকর ও ওযীফা
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
রাহে বেলায়াত-এর বিষয়বস্তু পাঁচটি অধ্যায়ে বিভক্ত ছিল। এবার নতুন দুটি অধ্যায় সংযোজন করে গ্রন্থটিকে সাত অধ্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। সকল অধ্যায়েই কমবেশি পরিবর্তন, সংশোধন বা সংযোজন করা হয়েছে। বিশেষ করে “সালাত ও বেলায়াত” নামে নতুন একটি অধ্যায় তৃতীয় অধ্যায় হিসেবে সংযোজন করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে সালাত বিষয়ক ‘রাহে বেলায়াতের’ পূর্ববর্তী সংস্করণের যিকর ও দু‘আ গুলোর সাথে আরো কিছু যিকর ও দু‘আ সংযোজন করা হয়েছে এবং সহীহ হাদীসের আলোকে সালাত আদায়ের মাসনূন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। “রোগব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক” শিরোনামের ষষ্ঠ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন। রোগব্যাধি জীবনের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। দীর্ঘদিন যাবত অগণিত পাঠক বিভিন্নভাবে তাদের বিভিন্ন সমস্যা, রোগব্যাধি, বিপদাপদ ইত্যাদির জন্য সুন্নাত সম্মত দু‘আ যিকর ও চিকিৎসা পদ্ধতি জানতে চাচ্ছেন। কারণ তাবীয কবয ইত্যাদির শিরক সম্পর্কে অনেক আলিমই কথা বলছেন। আমি আমার ‘ইসলামী আকীদা’ গ্রন্থেও এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। পাঠকগণ তাবিয কবয বর্জন করতে চান। কিন্তু বিকল্প সুন্নাত পদ্ধতি তো তাদের জানতে হবে। আর এজন্যই এ অধ্যায়টি সম্পূর্ণ নতুন সংযোজন করা হলো। মহান আল্লাহর কাছে আমরা সকাতরে দু‘আ করি, তিনি যেন এ সকল সুন্নাত-নির্দেশিত দু‘আ ও ঝাড়ফুঁকের ব্যবহারকারীদেরকে পরিপূর্ণ উপকার ও কল্যাণ প্রদান করেন।…বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন।

৫।খলিফাদের সোনালি ইতিহাস
আবু বকর রা: থেকে দ্বিতীয় আব্দুল মাজিদ
সায়্যিদ আবদুল কুদ্দুস হাশেমী
ইতিহাস জাতির দর্পণ। জাতির সফলতা ও ব্যর্থতার প্রমাণ।
আমাদের ইতিহাস গৌরবের।আমাদের অতীত সৌরভের।
আমাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় সাহস আর শৌর্যের গল্প।
আমাদের অতীতের খাতায় খাতায়
বিজয় আর বিরত্বের গল্প।
প্রিয়তম হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শ্রেষ্ঠ নবী ও শ্রেষ্ঠ মহামানব।
পৃথিবীতে এই শ্রেষ্ঠ মানবের স্পর্শ যাঁরা পেয়েছেন,এই সুরভিত গোলাবের সংস্পর্শে যাঁরা রয়েছেন,তাঁরাই হয়েছেন ধন্য।হয়েছেন পৃথিবীর বুকে অনন্য।
১১ হিজরিতে মোহাম্মাদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন।তাবৎ পৃথিবী শোকে ও দুঃখে মোহ্যমান হয়ে পড়লো।
আমল ও ইসলামে তখন এক পাহাড় বিপর্যয় নেমে আসলো। তখন মুসলমানদেরকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্যে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করার জন্যে, একজন খলিফা নির্বাচন করার তীব্র প্রয়োজন দেখা দিলো। ফলে নক্ষত্র তুল্য সাহাবারা পরস্পর পরামর্শ করে হযরত সিদ্দিকে আকবর -রাঃ কে খলিফা নির্বাচন করলেন। কারণ তিনি একদিকে যেমন সরদারে কায়েনাতের স্পর্শধন্য। অন্যদিকে তিনি মুসলিম উম্মাহর মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ও অনন্য।
সর্বসম্মতিক্রমে হযরত আবু বকর (রাঃ) মুসলিম উম্মাহর খলিফা নির্বাচিত হলেন। তখন থেকেই খলিফাদের হিরন্ময় কাফেলার যাত্রা শুরু হলো। শুরু হলো খলিফাদের সোনালি ধারা। যাঁদের একেকজন একেকটি নক্ষত্র, একেকটি সেতারা। ১১ হিজরিতে খলিফাদের যে নক্ষত্র মিছিল শুরু হয়েছিলো, ১৩৪২ হিজরিতে এসে সে মিছিল থমকে দাঁড়ালো। কুচক্রী কামাল পাশার ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের কারণে ইসলামী খেলাফতের পতন হয়ে গেলো। ফলে আমদের পতাকা ও নিশান ভূলন্ঠিত হলো। উম্মাহর ব্যথা ও বেদনায়,বিপর্যয় ও যাতনায়, সদা জাগ্রত থাকা ইস্তাম্বুলের শেষ কেল্লাও মাটিতে মিশে গেলো।
আমরা আমাদের মাকসাদ ও মারকায হারালাম। আমাদের মুহাফেজ ও অভিভাবক হারালাম।
আমাদের গৌরব ও সৌরভের, আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক সেইসব খলিফাদের ইতিহাস আলোচিত হয়েছে পাকিস্তানের সুনামধন্য আলেম, লেখক ও গবেষক সায়্যিদ আব্দুল কুদ্দুস হাশেমীর গ্রন্থে। এই গ্রন্থে ১০১ জন খলিফার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে।
আবু বকর (রাঃ) থেকে শুরু করে সুলতান দ্বিতীয় আবদুল মাজীদ পর্যন্ত খলিফাদের সোনালি ইতিহাসের গল্প কথা, তাঁদের সাহস ও বিরত্বের রক্তগাথা বিরচিত হয়েছে বক্ষমাণ গ্রন্থে।

৪। সালাত, দু’আ ও যিকর
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
মহান আল্লাহর প্রেম এবং বেলায়াত অর্জন মানব জীবনের সবচেয়ে সহজ কাজ। কারন, পৃথিবীতে যে কোনো করমে সফলতার জন্য যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। মহান আল্লাহ্ যাকে যতটুকু যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন সেটুকুর মধ্যে সাধ্যানুসারে চেষ্টা করে যে কোনো মানুষ আল্লাহর বেলায়াত লাভ করতে পারেন। একজন সুশিক্ষিত মানুষের কাব্যিক প্রার্থনা এবং একজন গ্রাম্য অথবা বাকপ্রতিবন্ধির অস্পষ্ট প্রার্থনা আল্লাহর কাছে সমান মর্যাদার অধিকারী ।
ঈমান ও তাকওয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর বেলায়াত অর্জিত হয়। ঈমান ও তাকওয়ার পূর্ণতার বা আল্লাহর বেলায়াতের সুনির্দিষ্ট মাপকাঠি রয়েছে, যা দিয়ে আপনি আপনার বেলায়াত মাপতে পারবেন। ঈমানের পূর্ণতার মানদণ্ড সুন্দর আচরন। আর তাকওয়ার মাপকাঠি সার্বক্ষণিক আল্লাহর ‘মুরাকাবা’। হাদীসের ভাষায়- ‘বান্দা যখন আল্লাহর মাহবুব হয়ে যায় তখন তাঁর চোখ, কান, হাত, ও পা মহান রবের নির্দেশনা লাভ করে।’ ‘আল্লহার ইবাদত করা যেন তুমি তাকে দেখছ; কারন, তুমি তাকে না দেখলেও তিনি তোমাকে দেখছেন।’
অত্র গ্রন্থে সালাত সংক্রান্ত নিয়মাবলী এবং সালাত বিষয়ক যিকর ও দু’আ গুলো বর্ণনা করা হয়েছে। সহীহ হাদীসের আলোকে সালাত আদায়ের মাসনুন পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে। গ্রন্থটি রচনায় যে সকল গ্রন্থের উপর নির্ভর করেছিলাম সেগুলো ‘আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট’ এর গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত । বর্তমানে “আল-মাকতাবাতুস শামিলা” নামক ইলেকট্রনিক লাইব্রেরির আলিমগনের মধ্যে সুপরিচিত। নতুন তথ্যাদির ক্ষেত্রে অনেক সময় “শামিলা” এর মধ্যে বিদ্যমান গ্রন্থগুলোর উপর নির্ভর করেছি। আগ্রহী পাঠক কোনো তথ্য যাচাই করতে চাইলে “শামিলা” এর সাহায্য নিতে পারেন।
সালাত সংক্রান্ত ফিকহ বিষয়ক কিছু বিতর্ক সুন্নাতের আলোকে সংক্ষেপে পর্যালোচনা করেছি। বেলায়াত বা মহান আল্লাহর প্রেম ও নৈকট্যর পথে প্রতিবন্ধকতা দূর করাই উদ্দেশ্য। কারন, হৃদয়কে বিদ্বেষমুক্ত করা ও সকল মুমিনকে সুন্নাতের আলোকে ভালবাসা আল্লাহর বেলায়াত লাভের অন্যতম উপায়। কিন্তু আমরা দেখছি যে, অনেক দীনদার মানুষ এ সকল ফিকহী মতোভেদের কারনে হৃদয়কে বিদ্বেষযুক্ত করছেন এবং তাওহীদ ও সুন্নাতের অনুসারী মুসলিমগণ একে অপরকে ভালবাসার বদলে ঘৃণা-বিদ্বেষ করছেন।
অনেক পাঠক বারবার কিছু ফিকহী বিতর্ক সম্পর্কে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। সাধারণত সালাত, সালাতুল জানাযা, সালাতুল বিতর, বিতরের কুনুত, কুনুতে নাযেলা, কুরআন তিলাওতের জন্য ওযু, গোসল, সাজদায় কুরআনের দু’আ বা মাতৃভাষায় দু’আ পাঠ ইত্যাদি অনেক বিষয়ে হাদীসের নির্দেশনার বিষয়ে তাঁরা দ্বিধান্বিত হয়ে অনেক প্রশ্ন করেছেন। আমি এ সকল বিষয় সংক্ষেপে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
মহান আল্লাহর বেলায়াত ও প্রেম অর্জন মানব জীবনের সবচেয়ে সহজ অথচ সবচেয়ে বড় অর্জন। মুমিন সাধ্যানুসারে যাই করবেন তাতেই তিনি পরিপূর্ণ ফল ও সাওয়াব লাভ করবেন। সম্মানিত পাঠক, আসুন না, মহান রব্বের বেলায়াত ও প্রেম অর্জনকে নিজেদের জীবনের লক্ষ্য হিসেবে গ্রহন করি এবং এ লক্ষ্য অর্জনে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ও সাহাবীগণের পদ্ধতি অনুসরণ করার জন্য চেষ্টা করি । আমরা আল্লাহর কাছে দু’আ করি, তিনি আমাদের সকলের হৃদয়কে তাঁর প্রেম ও রহমতে পূর্ণ করে দিন । আমিন ।- আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

৩। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
আরিফ আজাদ
সভ্যতার শুরু থেকেই সত্য ও মিথ্যার ধারাবাহিক লড়াই। মানবতার সমাধান ইসলাম বরাবরই জাহেলিয়াতের ধারক-বাহকদের অপপ্রচার ও বিদ্বেষ মোকাবেলা করে আসছে। আধুনিক সভ্যতার এই সময়ে দাঁড়িয়েও সেই ধারা অব্যাহত আছে। স্যোসাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান পরিসরকে সন্দেহের বীজ বোপন করছে। সন্দেহ থেকে সংশয়, সংশয় থেকে অবিশ্বাস। এভাবে এক অবিশ্বাসী প্রজন্মের গোঁড়াপত্তন হচ্ছে কিবোর্ডে। বিশ্বাসীদের সুশৃংখল চিন্তার দুনিয়ায়। কিছু কিছু তরুন-যুবা দিকভ্রান্তও হচ্ছে। রক্তক্ষরণ হচ্ছে মুসলিম মিল্লাতে। অবিশ্বাসীদের আপাত চমকপ্ৰদ প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জের মোকাবেলায় হিমশিম অবস্থা। জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ যেখানে, সেখানেই বিশ্বাসী প্ৰাণের যৌক্তিক লড়াই। এমনই এক বিশ্বাসী তরুন আরিফ আজাদ। অনলাইন দুনিয়ায় অবিশ্বাসীদের উখিত প্রশ্নের সাবলীল উত্তর দিয়ে অজস্র মানুষের প্রিয়ভাজন হয়েছেন। একজন তরুন এত চমৎকার ও যৌক্তিক ভাষায় ইসলামবিরোধীদের জবাব দিতে পারেন, ভাবতেই আশাবাদী মন জানান দেয়— আগামীর দিন শুধু সম্ভাবনার।
“প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটিতে গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বাস্তব দুনিয়ায়ও থাকা উচিত। নাস্তিক্যবাদ ও ইসলামদ্রোহীদের অপপ্রচারের জবাবে অনেকেই লিখছেন, বলছেন। এই বইটি সেসব জবাবের ভিত্তিকে আরো মজবুত করবে। আমার বিশ্বাস বইটি তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে এক তুমুল আলোড়ন তুলবে। আশা করি। বইটি পড়ে অবিশ্বাসীরাও নিমেহিভাবে ইসলাম নিয়ে চিন্তা করবেন। গাডিয়ান পাবলিকেশন্স এই অসাধারন বইটি প্রকাশ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। স্যোসাল মিডিয়ায় লেখাগুলোকে পাণ্ডুলিপি আকারে পাঠকদের হাতে তুলে দেয়ার কাজটা অনেক চ্যালেঞ্জের। বইটিকে যথাসম্ভব সুন্দর ও নিখুত করতে আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের কোন ত্রুটি ছিল না। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমাদের যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় নিয়ে ত্রুটি-বিচূতি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে বিশ্বাস করছি। লেখকের স্বকীয়তা এবং ভাষার বৈচিত্র বিবেচনায় প্রয়োজনে ইংরেজী শব্দও উল্লেখ করা হয়েছে।

২। বি স্মার্ট উইথ মুহাম্মাদ (সাঃ)
শিশু মুহাম্মাদ, কিশোর মুহাম্মাদ এবং নবুয়তের আগের যুবক মুহাম্মাদ সাঃ এর জীবনী
মাসুদ শরীফ, হিশাম আল আওয়াদি
জীবনে যারা বিশেষ কিছু হতে চান, এই বইটি তাদের জন্য। বইটির পরতে পরতে রাসূল ﷺ এর জীবনের এমন সব ঘটনা থাকবে, যেগুলো মানুষকে অনুপ্রেরণা দিবে দারুণভাবে। অবলীলায় তারা তাঁকে গ্রহণ করবেন অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে। বইটিতে তাঁর নবী হওয়ার আগের জীবন বেশি গুরুত্ব পাবে। আমরা দেখব শিশুকাল থেকে কীভাবে তিনি নিজের ব্যক্তিত্বকে গড়ে তুলেছেন। টিনএজ বয়সের চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা করেছেন। তরুণ বয়সেই কীভাবে সমাজে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। সাধারণত জীবনীগ্রন্থগুলোতে যেভাবে বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করা হয়, এখানে ইচ্ছে করেই সেগুলো সেভাবে বর্ণনা করা হয়নি। এই বইয়ে আমাদের ভাষা অনেকটা ঘরোয়া। অনেকটা সাদাসিধা।
ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে রাসূল ﷺ এর ব্যাপারে যেসব জীবনী লেখা হয়, সেগুলোর বেশিরভাগে দুটো জিনিস হামেশা পাওয়া যায়; রাসূল ﷺ ৪০ বছরের পরের জীবন আর পাঠকদের মধ্যে তাঁর ব্যাপারে সম্ভ্রম জাগানো। কিন্তু এ ধরনের লেখনীতে তরুণ পাঠকেরা নিজেদের কমই খুঁজে পায়। বইগুলোতে তাঁকে এতটাই নিখুঁত পুরুষ হিসেবে তুলে ধরা হয় যে, অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে তাঁকে গ্রহণ করতে বেগ পেতে হয়। তরুণরা অনেক সময়ই তাদের জীবন ঘনিষ্ঠ সংকটের সাথে রাসূল ﷺ জীবনী মিলিয়ে নিতে পারে না।অথচ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন খুব স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘আল্লাহর রাসূলের মাঝে তোমাদের জন্য আছে ভালো ভালো উদাহরণ।’ (৩৩:২১)
কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, রাসূল ﷺ এর সাথে মুসলিমদের সম্পর্ক যতটা কাছের হওয়া উচিত, ততটা হয় না। শিশুরা কখনো কল্পনাও করতে পারে না তাদের প্রিয় রাসূল ﷺ একসময় তাদের মতোই শিশু ছিলেন। তিনি খেলেছেন, দৌড়াদৌড়ি করেছেন। টিনএজাররা কখনো ভাবেই না যে, তারা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হয়ে দিন পার করছে, রাসূল ﷺ কে ঠিক এমনই কিছু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমাদের তরুণরা জানে না কীভাবে তিনি পরিবর্তনের সাথে খাপ খেয়ে নিয়েছেন, কীভাবে তিনি অচলবস্থার নিরসন করেছেন। এই বইয়ে শিশু মুহাম্মাদ, কৈশোরের মুহাম্মাদ এবং নবুওয়তের আগের যুবক মুহাম্মাদকে দেখবেন ইনশাআল্লাহ।
নিঃসন্দেহে তিনি আমাদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার পাত্র। আমরা প্রিয় নেতাকে জীবনের চেয়েও ভালোবাসি। কিন্তু আমরা তাঁকে এমন সম্ভ্রম-জাগানিয়া নিখুঁত মানুষ হিসেবে তুলে ধরি যে, আমাদের সময়ে তাঁকে অনুসরণ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা কেন যেন রাসূল ﷺ কে কঠিন করে উপস্থাপন করতে চাই।
এই বইতে পাঠক তাঁর সম্পর্কে এক নতুন চিত্র পাবেন। তারা দেখবেন কীভাবে তিনি আমাদের মতোই, আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি, সেগুলোর মোকাবিলা করেছেন। সেগুলোর মোকাবিলায় তিনি আমাদের অনুপ্রাণিত করবেন।
পাঠক আরও খেয়াল করবেন যে, এখানে নিজের জীবন উন্নয়নের ধাপগুলোর বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। চিরাচরিত বইগুলোর বর্ণনাভঙ্গীতে অনেক সময় মনে হয়, আমরা কী আর তাঁর মতো হতে পারব? এ ধরনের হীনমন্যতা দূর করে বাস্তব পদক্ষেপ দেখিয়ে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য।
পৃথিবীতে মানুষ যতটা নিখুঁত হতে পারে নিঃসন্দেহে রাসূল ﷺ তা-ই ছিলেন। কিন্তু এটা সত্য যে তিনি ছিলেন মানুষ। মানুষ হিসেবে অনেক সংকট ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। এসব ইস্যুতে প্রিয় নবিজী আর আমাদের মাঝে দারুণ কিছু মিল আছে। আমরা সহজাত উপায়েই নবিজীকে অনুসরণ করতে পারি।
আত্ম-উন্নয়নমূলক বিভিন্ন বইয়ের অনেক বিষয় আমি এখানে নিয়ে এসেছি। বিশেষ করে যেগুলো ইসলামের সাথে খাপ খায়, যেগুলো রাসূলর ﷺ জীবনে পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে আছে সামাজিক বিচারবুদ্ধি, সৃষ্টিশীলতা, পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া, নেতৃত্ব বিকাশের মতো বিষয়গুলো।
চিরাচরিত জীবনীগ্রন্থের দৃষ্টিকোণ থেকে এই বইকে দেখাটা ঠিক হবে না। এটা ঐ শ্রেণিতে পড়ে না। আবার ঠিক আত্ম-উন্নয়নমূলক বইও না। আমি এই দুই ধরনের এক অনন্য মিশেল তৈরি করতে চেষ্টা করেছি।
লেখকঃ হিশাম আল আওয়াদি

১। বেলা ফুরাবার আগে
আরিফ আজাদ
জীবনের কতগুলো বসন্ত পার হয়ে গেছে, ম্লান হয়ে গেছে কতশত কাকডাকা ভোর। আবছা স্মৃতির মতো, জীবন আস্তে আস্তে আচ্ছন্ন হয় ধূসরতায়। সময়ের সরল সংখ্যা কমে আসছে ধীরে ধীরে। সব পাখি নীড়ে ফেরে। সব নদী ফিরে যায় মোহনায়। তবু কিছু মানুষ, ভ্রান্তির মায়াজাল ভেদ করে, ফিরে আসতে চায় না। মোহ আর মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে তারা ছুটতে পারে না আদিগন্ত অনন্তের পথে।
তবু ফিরতে হবে। বেলা ফুরাবার আগে, ঠিক ঠিক চিনে নিতে হবে পথ। সন্ধ্যের ঘনঘোর আঁধারের অতলতায় ডুবে যাবার আগে, জীবন তরিটিকে ভেড়াতে হবে কূলে। রাতেরও শেষ আছে। ক্লান্তিরও আছে অবসান। জীবনের জড়তার জোয়ার ছেড়ে, নতুন করে একবার, শুধু একবার জ্বলে উঠতে হবে। নিজেকে আরেকবার ঝালিয়ে নিতে আজ তবে ডুব দেওয়া যাক…
জনপ্রিয় সব ইসলামি বইগুলো পেতে ক্লিক করুন !
comments (0)