অমর একুশে বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। আর এই মেলা ঘিরে প্রকাশ হয়েছে অসংখ্য নতুন বই। এসব বইয়ের মাঝে কিছু বই আলোচিত হয়েছে পাঠকদের মুখে মুখে। প্রিয় লেখকের বই কিনতে আগ্রহের কমতি নেই কারোও। তেমনি এক প্রিয় লেখকের রকমারি বেস্টসেলার বই নিয়েই এই আয়োজন।
যার পিতা লেখালেখির চর্চা করতেন এবং পরিবারের এই সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়ায় তিনি খুব অল্প বয়স থেকেই লিখতে শুরু করেন। তিনি নিয়মিত বিজ্ঞান-কল্পকাহিনী লিখে যাচ্ছেন, প্রতি বইমেলা তে তার নতুন সায়েন্স ফিকশান কেনার জন্যে পাঠকেরা ভীড় জমায়। ঠিক ধরেছেন, তিনি আর কেউ নন আমাদের সবার প্রিয় লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
আসুন জেনে নিই, মুহম্মদ জাফর ইকবালের বেস্টসেলার বইগুলো সম্পর্কে-

যখন টুনটুনি তখন ছোটাচ্চু
টুনি স্কুলের বারান্দায় বসে মাঠে ছেলেমেয়েদের দৌড়াদৌড়ি করে খেলতে দেখছিল। তার বয়সী ছেলেমেয়েরাই সবচেয়ে বেশি কিন্তু টুনি তাদের মাঝে নেই। কীভাবে কীভাবে জানি তার মাঝে একটা বড় মানুষ বড় মানুষ ভাব চলে এসেছে, তাই সে আর তার বয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে। মাঠে দৌড়াদৌড়ি করতে পারে না। টিফিনের ছুটিতে বারান্দায় বসে বসে তাদের খেলতে দেখে–মাঝে মাঝে মনে হয় সেটাতেই বুঝি মজা বেশি।

নিয়ান
মনিকা এক দৃষ্টিতে নিয়ানের দিকে তাকিয়ে রইল। গায়ের রং ককেশিয়ানদের মতো ধবধবে সাদা। মাথায় সোনালি চুল ঘাড় পর্যন্ত নেমে এসেছে। একটা পশুর চামড়া তার কোমর থেকে ঝুলছে। ওপরে কিছু নেই, খালি গা। সুঠাম পেশিবহুল দেহ। উঁচু কপাল এবং খাড়া নাক। লম্বাটে মুখ, শক্ত চোয়াল

মিতু তিতুর টাইম মেশিন
মিতু সুইচটা টিপ দিতেই টাইম মেশিনটা ভয়ংকর গর্জন করে চালু হয়ে যায়। পিছন থেকে লাল আগুন আর কা্লো ধোঁয়া বের হতে থাকে। টাইম মেশিনটা শন শন করে ঘুরপাক খেতে থাকে, চারপাশের সবকিছু ছিটকে ছিটকে পরতে থাকে। তার প্রচন্ড শব্দে মনে হলো বুঝি কানের পর্দা ফেটে যাবে। মিতু আর তিতু দুই হাত দিয়ে কান ধরে রাখল। তাদের মনে হলো সামনে একটা সুড়ুঙ্গ আর টাইম মেশিনটা ঘুরপাক খেতে খেতে সেই সুড়ুঙ্গের ভিতর ঢুকে গেল। তাদের মনে হলো তারা পড়ে যাচ্ছে, ভয় পেয়ে তারা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করতে থাকে। তখন হঠাৎ করে তারা ধপ করে তাদের ঘরের ভেতর এসে পড়ল।

হটলাইন
অন্য পাশ থেকে কেউ কিছু বলবে রত্না বলবে আশা করেনি, কিন্তু সে প্রথমবার একটা কণ্ঠস্বর শুনতে পেলো,কেউ একজন ভারী গলায় ধীরে ধীরে বলল, “হ্যাঁ । আমি ছাদের কার্নিশে দাঁড়িয়ে আছি। লাফ দিব। এক্ষুনি লাফ দিব। ছয়তলা থেকে।”

অবিশ্বাস্য সুন্দর পৃথিবী
অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে আছি, মাথার উপর উজ্জ্বল আলো। আমাকে ঘিরে ডাক্তার নার্স তার সাথে অনেক মানুষ, অনেকে আকুল হয়ে কাঁদছে। ডাক্তার নার্স সবাইকে বের করার চেষ্টা করতে করতে আমাকে বললেন, “আপনার ইনজুরিটা কতোটুকু গুরুতর বোঝার জন্যে, রক্ত বন্ধ করার জন্যে আপনাকে জেনারেল এনেসথিয়া দিতে হবে।
জাফর ইকবালের সকল বই পেতে