গাঢ় এক স্বপ্ন নিয়ে বৃষ্টিপুর নামের গ্রামটিতে একটু একটু করে স্কুল গড়েছিল ফরহাদ। সময় তাকে এমন এক পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে স্বপ্নের সেই স্কুল ধ্বংস করতে এখন সে পথে-অরণ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে কি সফল হবে? একমাত্র মেয়েকে নিয়ে হঠাৎ বৃষ্টিপুরে উদয় হয়েছিল রুকাইয়া নামের যে মেয়েটি, তাকে কী যেন বলতে চেয়েছিল ফরহাদের চোখ? সে ভাষা কি সারা জীবনই অবোধ্য থাকবে রুকাইয়ার কাছে?
যেকোনো মৃত্যুসংবাদ স্বর্ণকার হরিপদকে বিমূঢ় করে দেয়। একাত্তরের অস্থির সময়টিতে হঠাৎ নিজের পুত্রের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। পালকপুত্র জামিল তখন যক্ষের ভূমিকায় নেমে পাহারা দেয় পিতার গচ্ছিত অলংকার ও বিশ্বাস। কত দিন পারবে?
এটি মূলত একটা সময়ের আখ্যান, যে সময়টিতে নরককুণ্ডে বসে কতগুলো মানুষ স্বপ্ন দেখছে এক নিরাপদ, নিসর্গময় অমরাবতীর। কত দূরে সেই কাঙ্ক্ষিত অমরাবতী?