করোনা মহামারি শুরু হবার পর থেকেই সাধারণ মানুষ সবচেয়ে বেশি যেই ভোগান্তিতে পরেছিলো তা হলো, কোভিড-১৯ ভাইরাস থেকে সুরক্ষার জিনিসগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত না হওয়া। একেক সময় একেক জায়গা থেকে একেক রকম বার্তা পেয়ে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষই বিভ্রান্তিতে পড়েছিলো। এটাও অস্বীকার করার জো নেই যে, প্রথমদিকে গবেষকরাও সব কিছু নিয়ে অতটা নিশ্চিত ছিলেন না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো বৈশ্বিক বৃহৎ স্বাস্থ্য সংগঠনও একাধিকবার নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করেছিলো। করোনা সুরক্ষার জিনিসপত্র এবং সেগুলো কিভাবে কাজ করে, তা জানতে পারলে জনমনের বিভ্রান্তিই অনেকখানি কমে আসবে। যদিও পুরো বিশ্বে করোনার প্রকোপ এখন অনেকটাই কম, চলে এসেছে ভ্যাক্সিনও। কিন্তু দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভ্যাক্সিনেটেড হতে এখনো ঢের দেরি। ফলে, যে কোনো অবস্থায় সুরক্ষার জিনিস নিয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি।
মাস্ক নিয়ে মশকরা নয়
করোনা মহামারীর শুরু থেকেই সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেটি হলো- মাস্ক। কোভিড-১৯ ভাইরাসটি নতুন হলেও এই মুখবন্ধনীর সাথে আমরা পূর্বেই পরিচিত। দক্ষিন এশিয়ার ধুলোবালিতে দূষণ ঘটিত অঞ্চলগুলোতে আগে থেকেই অনেকে মাস্ক পরিধান করতো। এখন ইতোমধ্যে আমরা সবাই জানি, ভাইরাসটি মানবদেহে প্রবেশ করছে আমাদের নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে। মাস্ক এমনই এক সুরক্ষা পদ্ধতি, যা দিয়ে সহজেই এক ঢিলে দুই পাখি মারা সম্ভব। অর্থাৎ অদৃশ্য ভাইরাস থেকে নাক ও মুখকে বাঁচাতে একটি মাস্কই যথেষ্ট। মাস্কের অনেক ধরণ থাকলেও এটা মাথায় রাখা উচিত, আমি যে মাস্কটিই পরছি না কেন, নাক ও মুখ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখা হবে একমাত্র উদ্দেশ্য।

এখন আসি কী ধরণের মাস্ক পরা উচিত? সত্যি বলতে, বাজারে অনেক ধরনের মাস্ক পাওয়া যায়। সবগুলো মাস্কেরই একমাত্র উদ্দেশ্য হলো ঠিকভাবে মুখ ও নাক ঢেকে রাখা। এবং ভাইরাস যেন মাস্ককে ভেদ করে প্রবেশ করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখা। এক্ষেত্রে নিম্নমানের মাস্কগুলোতে দেখা যায়, খুব পাতলা আবরণ দিয়েই তৈরি করা। এতে করে ভাইরাস কিংবা অন্য যে কোনো ব্যাকটেরিয়ার গতিপথ রোধ করা সম্ভব কিনা, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
এজন্য অনেক মাস্কে একাধিক লেয়ার (আবরণ) থাকে। প্রায় সাতটি লেয়ারের তৈরি মাস্ক এক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকরী, তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। তবে মজার ব্যাপার হলো, এই কাপড়ের মাস্কটি সবুজ, গোলাপী, নীল কিংবা সাদা সহ অনেকগুলো রঙে বাজারে পাওয়া যায়। এই মাস্কের সবচেয়ে বড় গুণ হলো, অনেকক্ষণ পরে রাখার কারণে মুখ ঘর্মাক্ত হলেও মাস্কের আবরণে সেটি কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না।
তবে মজার ব্যাপার হলো, মাস্কের ক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে লিঙ্গের ভেদাভেদ না থাকলেও মেয়েদের মুখের গড়ন সাধারণত কিছুটা ভিন্ন হওয়ায়, তাদের জন্য তিন লেয়ারের বিশেষ ধরণের মাস্ক পাওয়া যায়। এই মাস্কের ফিতা অপেক্ষাকৃত বড় এবং ভিন্ন ধরণের হওয়ায় এই মাস্ক পরলে মেয়েদের স্কার্ফ পরায় কোন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয় না। এগুলো নীল ও কালো উভয় রঙেই পাওয়া যায়। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকরী মাস্ক হিসেবে ধরা হয় বিশেষ এন-৯৫ (N-95) রেসপিরেটর মাস্ককে। যদিও বাজারে প্রচলিত আরেকটি মাস্ক কেএন-৯৫ (KN-95) কে ‘ছোট ভাই’ হিসেবে অভিহিত করলেও এন-৯৫ মাস্কের ধারে কাছেও নেই সেগুলো।
বাতাসে ভাসমান শূন্য দশমিক তিন মাইক্রন ব্যাসের বস্তুকণাকেও ঠেকিয়ে দিতে পারে এন-৯৫ রেসপিরেটর। সিডিসি বলছে, এই রেসপিরেটর বাতাসে ভাসমান ৯৫ শতাংশ বস্তুকণা থেকে শ্বাসতন্ত্রকে সুরক্ষা দিতে পারে। মাস্কটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে তা নাকের পাশে ও মুখের ত্বকে চেপে বসে থাকে এবং কোনো ফাঁক দিয়ে বাতাসবাহিত অণুজীব নাকে বা মুখে যেতে না পারে। এজন্য গবেষকরা সাধারণ মানুষের চেয়ে হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের এই মাস্কটি পরতে বেশি উৎসাহ দেন।

সবশেষে মাস্ক কথনের ইতি টানছি প্রচলিত মুখবন্ধনী সার্জিক্যাল মাস্কের কথা বলে। এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ও সস্তা মাস্ক। সাধারণত মেডিকেল ইকুইপমেন্ট হিশেবেই সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের মাস্ককে কখনও কখনও ফেইস মাস্কও বলা হয়। তবে বাজারে যেসব ফেইস মাস্ক পাওয়া যায়, তার সবই সার্জিক্যাল মাস্ক নয়। নীল ও শাদা রঙে প্রচলিত এসব সার্জিক্যাল মাস্ক খুলতে ও পরতে বেশ সুবিধা হওয়ায় অনেক মানুষই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করে থাকেন। ধুলোবালি কিংবা বিষাক্ত গ্যাস থেকে বেঁচে থাকতে ঘরে এক বক্স সার্জিক্যাল মাস্ক রাখা জরুরি। এখন বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা সার্জিক্যাল মাস্কও পাওয়া যায়।
হাতও থাকতে হবে জীবাণুমুক্ত
মহামারীতে মাস্কের পরই গুরত্ব পেয়েছিলো হাত ধোয়া। যেহেতু চোখ, মুখ ও নাক দিয়ে ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে, তাই সেগুলো ঢেকে রাখার পাশাপাশি হাতও যেন সর্বদা পরিস্কার থাকে, সে ব্যাপারে সবসময় নজর দিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। খুব কম মানুষই সার্জিক্যাল হ্যান্ড গ্লাভসের ব্যাপারে আগ্রহী। সহজলভ্য হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই স্যানিটাইজার ব্যবহার করে থাকেন।
আমরা সাধারণত দু’ধরনের স্যানিটাইজার কিনে থাকি। বড় আকারের ডেটল কিংবা স্যাভলনের পাঁচ লিটার গ্যালন। অন্যদিকে পকেটে নিয়ে ঘোরার মতো ছোট আকৃতির স্যাভলন কিংবা লাইফবয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এখন প্রশ্ন এটা যে, সত্যিকার অর্থে স্যানিটাইজারগুলো আসলে কতটা কার্যকরী? স্যানিটাইজারের মূল কাজ হলো, দ্রুততার সাথে ত্বকের উপর লেগে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা। ৬০% ইথাইল অ্যালকোহল থাকায় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ক্ষতিকারক জীবাণু মারা হলেও এর প্রভাব খুব বেশিক্ষণ থাকে না। তাই সাধারণত অনেক চিকিৎসকই স্যানেটাইজারের পরিবর্তে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
এটা ঠিক যে, ক্ষার জাতীয় হওয়ায় সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্যানিটাইজারের চেয়ে বেশি কার্যকরী হয়। কিন্তু আসবাবপত্রসহ অনেক স্থানেই স্যানিটাইজার স্প্রে করতে হয়, যা সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে সম্ভব নয়। আকারভেদে স্প্রে স্যানিটাইজারও দু’ধরনের পাওয়া যায়। ২০০ থেকে ২২৫ মিলি সমান স্প্রে স্যানিটাইজার সাড়ে তিনশো টাকার মধ্যে এবং ১০ মিলি সমান পকেটে রাখার মত পেন স্প্রে স্যানিটাইজার পাওয়া যায় মাত্র ৫০ টাকায়। (রকমারিতে দেখি মাত্র ৩০ টাকা!)

আগেই বলেছি, এসব স্যানিটাইজার অনেকাংশেই জীবাণুমুক্ত করতে পারলেও সেটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তবে বর্তমানে বাজারে কিছু স্যানিটাইজার পাওয়া যায়, যা বেশ স্থায়ী। ‘আল্ট্রা প্রোটেক্ট জেল’ নামের এসব স্যানিটাইজার প্রায় দুই ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী সুরক্ষা দিতে পারে। তবে অবাক করার ব্যাপার হলো, আড়াইশো মিলি সমান ‘আল্ট্রা ডিজ-ইনফেক্ট শিল্ড স্প্রে’ নামের স্যানেটাইজারগুলো সুরক্ষা দিতে পারে টানা সাত দিন!
তবে স্যানিটাইজার নিয়ে বকবকানি শেষ করার আগে ‘খাঁটি’ স্যানিটাইজার চেনার একটা মজার উপায় শিখিয়ে দিই। একটি টিস্যু পেপার নিয়ে তাতে কলমের দাগ দিয়ে, তার উপর কয়েক ফোঁটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিন। যদি কালি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার একেবারে নকল। আর যদি পেনের কালি না ছড়িয়ে গিয়ে টিস্যু পেপারটি মুহূর্তে শুকিয়ে যায় তবে বুঝতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি একেবারে খাঁটি।
গগলস ও ফেস শিল্ড
মাস্ক এবং স্যানিটাইজার সবার পরিচিত হলেও এর বাইরেও সুরক্ষার বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। যেমন- মাস্ক মুখ আর নাক ঢেকে রাখলেও চোখ তাতে খোলাই থাকে। সেক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষায় পাওয়া যায় বিশেষ ধরনের স্বচ্ছ চশমা। বিদেশী ভাষাতে যাকে আমরা গগলস (Geggles) হিশেবে চিনি। এটি চোখকে মুখবন্ধনীর মত করে সব দিক থেকে আটকে রাখে। একে কি তবে চক্ষুবন্ধনী বলা যায়!

তবে ফেস শিল্ড নামের স্বচ্ছ এক প্রকার জিনিস পাওয়া যায়, তা এক ঢিলে তিন পাখি মারতে পারে। অর্থাৎ চোখ, নাক ও মুখ সবকিছুকেই বাইরের ক্ষতিকারক ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে বেশিরভাগ মানুষের কাছেই এটি স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ না হওয়ায় তেমন একটা পরতে দেখা যায় না। অতি সাবধানতাবশত অনেকে আবার মাথায় স্বচ্ছ নীলাভ একধরণের হেড কভার পরে থাকেন, যা এমনিতে বাইরের ধুলোবালি কিংবা ভয়ংকর ভাইরাস থেকে মাথার অংশকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।
একদম শেষে আসি কিছু মেশিনারি সুরক্ষা পণ্যে। আমরা সাধারণ মানুষরা এসব থেকে একটু দূরে থাকি। কিন্তু বিপদের সময়ে এসব কাছে রাখা জরুরি।
ঘরে একটি রক্তচাপ মাপার মেশিন রাখা প্রয়োজন
করোনাকালীন সময়ে বয়স্কদের বেশিরভাগ সময়েই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে দেখা গেছে। কাছে কোনো ফার্মেসি না থাকলে অথবা রক্তচাপ মাপতে না পারলে বিরাট সমস্যা হতে পারে। তাই ঘরে একটি রক্তচাপ মাপার মেশিন রাখা প্রয়োজন। এগুলো খুব সহজেই চালনা করা যায়। এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রক্তচাপের ফলাফল দেখানো হয়। এছাড়াও রক্তে গ্লুকোজের পরিমান নির্ণায়ক মেশিন বিপদের সময় বেশ কার্যকরী।

সঙ্গে সঙ্গে নেবুলাইজার নেয়া প্রয়োজন
করোনা হলে সবচেয়ে ভয়ংকর যে লক্ষণটি দেখা যেতে পারে তা হলো- শ্বাসকষ্ট। করোনার মতো শক্তিশালী ভাইরাসের সংক্রমণে অনেকক্ষেত্রে সাধারণ ইনহেলার কাজ করে না। তখন সঙ্গে সঙ্গে নেবুলাইজার নেয়া প্রয়োজন। বাসায় রাখার মতো দু’ধরনের নেবুলাইজার নিয়ে বলার আগে নেবুলাইজার কিভাবে কাজ করে সেটা জানিয়ে রাখি। আল্ট্রাসাউন্ড দিয়ে ওষুধের তরল উপাদানকে রূপান্তরিত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয় আল্ট্রাসনিক নেবুলাইজারে। আর মেশ নেবুলাইজারে মেশ বা জালের সাহায্যে তরল ওষুধ অ্যারোসলে পরিণত করে শ্বাসনালিতে পাঠানো হয়। সহজলভ্য ও পরিচালনা সহজ বলে জেট নেবুলাইজার বেশি ব্যবহৃত হয়।
এমনিতে নেবুলাইজারের কয়েকটি অংশ থাকে। এর কমপ্রেসরের মাধ্যমে চাপযুক্ত বাতাস প্রয়োগ করা হয়। টিউব হয় প্লাস্টিকের তৈরি, যা কমপ্রেসরকে নেবুলাইজারের ওষুধ চেম্বারের সঙ্গে যুক্ত করে। আর নেবুলাইজারে ওষুধ চেম্বারের তরল ওষুধটি অ্যারোসল বা স্প্রেতে রূপান্তরিত হয়। আগেই বলেছি, বাসায় রাখার মতো সহজে চালানোর নেবুলাইজার বাজারে রয়েছে। বাসার জন্য সাধারণত ছোট আকৃতির নেবুলাইজার নেয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন। তবে এখন পকেটে রাখার মত ছোট ব্যাটারি চালিত নেবুলাইজারও পাওয়া যায়।
প্রচলিত থার্মোমিটারের চেয়ে ভালো ইনফ্রারেড থার্মোমিটার
করোনার সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ে মাপতে হয় প্রতিনিয়ত। কিন্তু প্রচলিত থার্মোমিটার মুখে দিয়ে তাপমাত্রা মাপতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। তাই এখন স্পর্শ না করে তাপ মাপার মত থার্মোমিটার ব্যবহার হয়, যা ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’ নামে পরিচিত। কখনও এগুলোকে লেজার থার্মোমিটারও বলা হয়, কারণ লেজারটি থার্মোমিটার বা নন কন্টাক্ট থার্মোমিটার তাপের বিন্দুগুলো লক্ষ্য করতে সহায়তা করে। ডিভাইসটি কিছুটা দূরত্ব থেকেও তাপমাত্রা পরিমাপ করতে সক্ষম।
বস্তু ও তার শক্তি দিয়ে কতটুকু নির্গত হচ্ছে সেটির ইনফ্রারেড শক্তির পরিমাণ সম্পর্কে জানার মাধ্যমে থার্মোমিটারটি কাজ করে। বস্তু বা যার তাপ মাপা হচ্ছে, তাঁর তাপমাত্রা প্রায়শই তাঁর প্রকৃত তাপমাত্রার একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে নির্ধারণ করা যায়। এজন্য বাংলা করলে একে ‘তাপীয় বিকিরন থার্মোমিটার’ বলা যায়।

পালস অক্সিমিটারও কাজে লাগে
একদম সবার শেষে একটি মাত্র মেশিনের কথা বলে শেষ করি। করোনার সবচেয়ে ভয়ংকর দিক হলো, অনেকক্ষেত্রে রোগীর মধ্যে সংক্রমণের বাহ্যিক কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না। তাদেরকে ‘অ্যাসিম্টোম্যাটিক’ বলা হয়। তাদের জন্য ছোট কিন্তু কার্যকরী মেশিন হলো অক্সিমিটার। আগে শ্বাসতন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যার রোগীরা অক্সিমিটার ব্যবহার করলেও করোনাকালীন সময়ে উপসর্গহীন রোগীদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা তথা রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। পালস অক্সিমিটারের পরিমাপ অনুযায়ী, রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা হলো ৯৫ থেকে ১০০ শতাংশ। আর সেই মাত্রা ৯২ শতাংশের নিচে নামলেই তাকে অস্বাভাবিক বিবেচনা করা হয়।
করোনার এসব জিনিসপত্র আপনাকে সুরক্ষিত করতে পারে ঠিকই। কিন্তু সাবধানতার থেকে বড় সুরক্ষা আসলে কিছুই নেই।
করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সকল প্রয়োজনীয় পণ্য দেখুন