অনেক সময়ই আমরা অতি সামান্য কারণেও খুব বেশি রেগে যাই।অনেকে তো রেগে গেলে ভাঙচুর করি কিংবা হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তা-ই ছুড়ে মারি,গলা ফাটিয়ে চিৎকার করি। কিন্তু দেখা যায়,এই অতিরিক্ত রাগের ফলে নিজের কিংবা অন্যের জন্য ক্ষতিকর একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে যায়।যেমন,মাত্রাতিরিক্ত রাগ আমাদের ব্লাড প্রেশার বাড়াতে পারে,এমনকি প্রায়শই সুন্দর সম্পর্ক গুলো নষ্ট হওয়ার কারণ হয়ে দাড়ায় এই রাগ এবং পরে আমরা আফসোস করি যে এভাবে রাগাটা মোটেই ঠিক হয় নি।
Scientific Research থেকে দেখা যায়,Short temper হওয়ার কারণে যে সেনসেশন হয় সেটা ২.৫ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হয়,অর্থাৎ রাগ বেরিয়ে আসার আগে যে অসহ্যকর সময় পার করি,সেটা স্থায়ী হয় ২.৫ সেকেন্ড।এই ২.৫ সেকেন্ড এ যদি আমরা রাগ প্রকাশ করি তাহলে এটা আবার রি-জেনারেট হয়।ফলে রাগ ক্রমশই বাড়তে থাকে। তাই,এই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে জানাটা অত্যাবশকীয়।কিন্তু অনেকেরই কমন একটা সমস্যা,”ভাই চাই তো রাগ না দেখাইতে কিন্তু রাগ উঠলে মাথা ঠিক থাকেনা, তাই পারি না”।এই কঠিন ব্যাপারের সহজ সমাধান টা হাদীস থেকে আমরা নিতে পারি।আমরা হাদীস থেকে দুইটি পদ্ধতি অনুসরণ করে আমাদের রাগ টা সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক-
★হযরত আতিয়্যাহ ইবনে উরওয়াহ সা’দী (রা.) বলেন,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
ক্রোধ শয়তানের পক্ষ থেকে,আর শয়তান আগুনের তৈরী।বস্তুতঃআগুন পানি দ্বারা নিভান হয়।সুতরাং যখন তোমাদের কেউ ক্রোধান্বিত হয় তখন সে যেন ওযূ করে নেয়। (আবু দাউদ)
★হযরত আবু যার (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
যখন তোমাদের কারও রাগ আসে তখন যদি সে দাঁড়ান থাকে,তাহলে সে যেন বসে যায়।যদি এতে রাগ চলে যায় ভাল।অন্যথায় যেন শুয়ে পড়ে।(আহমদ,তিরমিযী)
তাহলে এরপর থেকে যখনই আমাদের খুব বেশি রাগ হবে তখন উক্ত হাদীস অনুসরণ করে খুব সহজেই রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।যার ফলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক থাকবে এবং সম্পর্ক গুলোও সুন্দর থাকবে।আর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারা কিন্তু অনেক বড় একটা গুণের মধ্যে একটি।কারণ,
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
বস্তুত ঐ ব্যক্তি শক্তিশালী নয়,যে প্রতিপক্ষকে মুকাবিলায় পরাভুত করে ফেলে।বস্তুতঃ সে ব্যক্তিই প্রকৃত বীর,যে ক্রোধের সময় নিজেকে আয়ত্ত রাখতে পারে।(বুখারী ও মুসলিম)
রকমারি ডট কম এ আপনার প্রিয় ইসলামিক বইগুলো পেতে ক্লিক করুন।
comments (0)