সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্মেষলগ্ন থেকে একজন মানুষ বুঝতে পারে তার পাশের অপর একজন মানুষের সাথে সঠিক যোগাযোগের জন্য সঠিক অভিব্যক্তির প্রয়োজন। সঠিক অভিব্যক্তির জন্য ঠিক ঠিক শব্দচয়ন আবশ্যকীয়। ঠিক ঠিক শব্দের জন্য শব্দের একত্রিত সংকলন আবশ্যকীয়। মানশব্দ ও মানভাষার আবশ্যকতা বুঝতে পেরে লিপি উদ্ভবের পূর্ব থেকেই মানুষ শব্দচয়নের বিষয়টি শুরু করে। আর এ জন্য মানুষ শব্দকোষ বা অভিধান রচনা আরম্ভ করে। অভিধানে শব্দগুলোকে একসাথে জড়ো করা হয়।
অভিধান হল বর্ণের ক্রমানুসারে গ্রন্থাকারে সজ্জিত কোনো একটি ভাষার শব্দসমূহের সংগ্রহ যাতে শব্দগুলোর অর্থ, বানান, উচ্চারণ, প্রয়োগ, ব্যুৎপত্তি, ব্যাকরণ, পরিভাষা ও ব্যাখ্যা থাকে। এসব অভিধান একভাষিক। এমনও অভিধান আছে যেগুলোতে এক ভাষার শব্দের অর্থ অন্য ভাষায় সন্নিবেশিত থাকে। এগুলো দ্বিভাষিক। এ ছাড়া বহুভাষিক অভিধানও আছে। অভিধানের শব্দের অন্তর্ভুক্তি ও ব্যাখ্যা এত বিপুল হতে পারে যে, তা রীতিমতো বিশ্বকোষ হয়ে যায়। আধুনিক অভিধান প্রণয়নে আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপিতে (IPA) উচ্চারণ নির্দেশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো কোনো অভিধানে অর্থ প্রকাশে ছবির সহায়তা নেওয়া হয়। সাধারণ অভিধান একটি ভাষার শব্দভাণ্ডারের যাবতীয় বা অধিকাংশ শব্দকে ধারণ করতে পারে। অন্য দিকে চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, স্থাপত্য, আঞ্চলিক শব্দ থেকে শুরু করে সমার্থক শব্দ প্রভৃতি ধারণাকে ভিত্তি করে বিশেষ অভিধান তৈরি হতে পারে। সম্প্রতি অভিধান গুলোতে লাগছে প্রযুক্তির ছোঁয়া। বিপুল শব্দসম্ভারের ভেতর থেকে পাঠকের প্রার্থিত শব্দের অনুসন্ধান বেশ সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য ও কখনও কখনও ফলপ্রসূ নয়। এ ছাড়া পুস্তক আকারে অভিধান প্রণয়নে স্থানিক সীমাবদ্ধতার কারণে সেগুলোতে একটি শব্দের ব্যাকরণগত রূপান্তর, বাক্যে বহুমুখী প্রয়োগ ও সর্বোপরি তার অডিয়ো ধ্বনির উল্লেখ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ চিন্তা থেকেই বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনলাইন অভিধান তৈরির প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অভিধানের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত?—এ নিয়ে অভিধান প্রণেতা ও ব্যবহারকারী উভয়ের চিন্তায় দু ধরনের প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। প্রথম প্রবণতা হল, এদের এক পক্ষ অভিধানকে শাস্ত্রগ্রন্থ হিসেবে জ্ঞান করে। এদের নিকট শব্দের নির্ভুল বানান, উচ্চারণ ও উৎপত্তি জানার, এমনকি শব্দের শুদ্ধতা নির্ণয়ের সর্বশেষ আশ্রয় হল অভিধান। পশ্চিমে অবশ্য অভিধান প্রণয়নের প্রথম দিকে ভাষার বিশৃঙ্খলতা নিরসনে, শব্দকে ব্যাকরণের কঠিন নিগড়ে বেঁধে স্থির একটি শব্দকাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে কোথাও ব্যক্তি পর্যায়ে, কোথাও প্রতিষ্ঠান গঠন করে অভিধান প্রণয়নের ইতিহাস আছে। ভাষায় বিরাজমান শব্দসমূহের দৈনন্দিন ব্যবহার বিশ্লেষণ করে শব্দের নানাবিধতার সারণি তৈরিতে ব্যস্ত দ্বিতীয় পক্ষ। এই পক্ষ শব্দকে বর্ণনা করতে চায়, শব্দের ঐতিহাসিক ব্যবহারের ক্রমপঞ্জি তৈরি করতে চায় এবং মানুষের মুখের ব্যবহারে নিত্যপরিবর্তিত শব্দের সবটা ধরতে চায়। এ দুই পক্ষ ব্যতীত অধুনা সময়ে রূপান্তরশীল সৃষ্টিশীল বৈয়াকরণরা অভিধান প্রণয়নের নতুন আরেকটি ধারার কথা বলেছেন যে ধারাতে অদ্যাবধি কোনো অভিধান প্রণীত হয় নি।
অভিধানের আরম্ভিক অস্তিত্বের সাথে অনেক দেশ ও জাতির নাম জড়িত। খ্রিষ্টপূর্ব ২য় সহস্রাব্দ পূর্বে সুমেরীয়-আক্কাদীয় দ্বিভাষিক শব্দসংগ্রহ এখন পর্যন্ত জানা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন অভিধান। কীলক লিপিতে লেখা উর্রা=হুবুল্লু নামে পরিচিত এই অভিধান।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ শতকের গ্রীক কবি ফিলিতাস একটি অভিধান সংকলন করেন যার শিরোনাম আতাক্তোই গ্লস্সাই। খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতকে এরিস্টটল, ভান্স কঠিন কঠিন গ্রীক শব্দের একটি তালিকা তৈরি করে তাতে সেগুলোর অর্থ সংযোজন করেন। গ্রীকদের প্রতাপ সমাপ্ত হওয়ার পর রোমান সাম্রাজ্যের বৈভবকালে বহু লাতিন অভিধান রচিত হয়।
সবচেয়ে পুরাতন যে অভিধান ভারতবর্ষে পাওয়া যায় তার নাম নিঘণ্টু। এর রচনাকাল খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ বা ৮০০ অব্দ। এর পূর্বেও নিঘণ্টুর পরম্পরা ছিল। নিদেনপক্ষে খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ অব্দ থেকে নিঘণ্টু অভিধানের কার্যক্রম শুরু হয়। বৈদিক সাহিত্যে ব্যবহৃত শব্দের সংকলন এই নিঘণ্টু। যাস্ক রচিত নিরুক্ত উক্ত নিঘণ্টু অভিধানের ভাষ্য। সংস্কৃত ভাষার বিখ্যাত পণ্ডিত অমরসিংহ বিরচিত নাগলিঙ্গানুশাসনম্ সংস্কৃত ভাষার বিশ্ববিখ্যাত একটি অভিধান। শ্লোকরূপে রচিত ও তিন খণ্ডে সংকলিত এই অভিধান অমরকোষ হিসেবে অধিক পরিচিত। অমরকোষ বিশ্বের প্রথম সমার্থকোষ (Thesaurus)। সংস্কৃত ভাষার আধুনিক অভিধানগুলোর মধ্যে শব্দকল্পদ্রুম একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। এ ধরনের অভিধান মহাশব্দকোষ নামে অভিহিত হয়। রাধাকান্তদেব বাহাদুর কর্তৃক বিরচিত এই মহাকোষ ১৮২৮ থেকে ১৮৫৮-এর মধ্যে প্রকাশিত হয়। মনে করা হয়, সংস্কৃত ভাষার এমন কোনো শব্দ নেই যা এই মহাকোষে নেই।

এমন কথা শোনা যায়, চীনের খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ অব্দ থেকে অভিধান রচনার কাজ শুরু হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ শতকের মধ্যে সংকলিত শিঝুপিয়ান ও ১২১ খ্রিষ্টাব্দে নির্মিত (Shuowen Jiezi) অভিধানের কথা এখানে উল্লেখযোগ্য। শেষোক্ত অভিধানটি রচিত হয়েছে হান রাজবংশের শাসনকালে। রচনা করেছেন শু শেন (Xu Shen)।

আরবরা অভিধান সংকলন শুরু করে ৮ম শতকের দিকে। আল-ফারাহিদীর কিতাবুল আইন নামে একটি অভিধান রচনা করেন যা আরবী ভাষার প্রথম অভিধান হিসেবে স্মরণীয়। লিসানুল আরব নামে একটি সুবৃহৎ আরবী অভিধান রচনা করেছেন ইবন মানজুর নামক একজন মাগরেবী পণ্ডিত। এ ছাড়াও রয়েছে মোস্তফা জাবীদী রচিত তাজুল আরূস।
মধ্য পারসিক ভাষায় অনূদিত ফারহাঙ্গ-ই-পাহলাভিগ ইরানীদের অভিধানচর্চার একটি প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এতে পাঁচ হাজার আরাবি শব্দের অর্থ মধ্য পারসিক ভাষায় ও উচ্চারণ পাজেন্দ বর্ণমালায় দেওয়া আছে। এর রচনাকাল ও রচনাকর্তা অজানা। এ ছাড়াও প্রাচীন আভেস্তা-মধ্য পারসিক ভাষার সংক্ষিপ্ত দ্বিভাষিক অভিধান ফারহাঙ্গ-ই ওইম-এভাক আরেকটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। আলী আকবর দেহখোদা কর্তৃক বিরচিত লোগাতনামে-এ-দেহখোদা ফার্সী ভাষার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অভিধান যাতে ৩০ লাখ অভিলেখ অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩১ সালে এটি প্রকাশিত হয়।
বর্তমান সময়ে অনেক বিস্তৃত পরিবেশে অভিধানতত্ত্ব বিকশিত হয়েছে। শব্দকোষ ও বিশ্বকোষ এই দুই প্রকারে অভিধান বহুমুখী প্রবাহের মাধ্যমে পরিপক্কতার দিকে ধাবমান। আধুনিক সময়ের অভিধান বিদ্যার বিকশিত রূপে ভাষাবিজ্ঞান, ব্যাকরণশাস্ত্র, সাহিত্য, অর্থবিজ্ঞান, শব্দপ্রয়োগ, ঐতিহাসিক বিকাশ ও অন্যান্য অনেক শাস্ত্রজ্ঞান একসাথে জড়ো করে অভিধান সংকলনে ব্যবহার করা হয়।
আমাদের পরিচিত ভাষা সমূহের প্রকাশিত অভিধানের মধ্যে ইংরেজি ভাষার Oxford English Dictionary কে অভিধান রচনায় উপরের সব বিষয়কে একসাথে ব্যবহারের উৎকৃষ্ট নিদর্শন হিসেবে দেখা যেতে পারে। এতে শব্দের সঠিক উচ্চারণ আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ইউরোপের প্রায় সমস্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ ভাষা সমূহের বিকশিত স্তরে উৎকৃষ্ট, বিশাল, প্রামাণিক অভিধান রচনার কাজ শেষ হয়ে গেছে। এসব দেশে অভিধান রচনার জন্য স্থায়ী প্রতিষ্ঠিত সংস্থাও রয়েছে যারা সর্বদা নিজ নিজ ভাষার অভিধান উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত। দেশবরেণ্য ভাষাবিদদের সহায়তা ও উৎসাহী জনতার সংযোগে তারা এ কাজ পরিচালনা করছে। এসব অভিধান রচনার বিধানমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো অধ্যয়ন করলে অভিধান রচনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো দৃষ্ট হয়—
ক) উচ্চারণসূচক সংকেতের ব্যবহার করে শব্দের স্বর-ব্যঞ্জনের উচ্চারণ ও সর্বোপরি স্বরাঘাতের স্থান নির্দিষ্ট করা।
খ) ব্যাকরণের উপযুক্ত ও আবশ্যক নির্দেশনা প্রদান
গ) শব্দের বিজ্ঞানসম্মত ব্যুৎপত্তি প্রদর্শন
ঘ) একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ প্রয়োগ অনুসারে প্রদান
ঙ) শব্দের পর্যায় বর্ণনা
চ) অপ্রযুক্ত শব্দের তালিকাপ্রদান
ছ) সংগত অর্থের সমর্থনে উদাহরণ প্রদান
জ) অর্থ স্পষ্টকরণে চিত্র, রেখাচিত্র ও মানচিত্রের ব্যবহার

আধুনিক অভিধানের এই বৈশিষ্ট্যগুলো গুরুত্বে এনে তেমন কার্যকর অভিধান আজও বাংলা ভাষায় রচিত হয়নি। বাংলাদেশে অভিধানচর্চার দিকে দৃষ্টি দিলে প্রথমেই আসবে অমরকোষের কথা। সংস্কৃত অভিধান অমরকোষের বাংলা লিপিতে লিখিত সংস্করণ বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত রয়েছে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের অধিকাংশ এই অমরকোষে পাওয়া যায়। উনিশ শতকে মুদ্রিত সংস্কৃত অভিধান শব্দকল্পদ্রুমও বাংলা লিপিতে বিভিন্ন গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত দেখতে পাওয়া যায়। এ দুটো বাংলা লিপিতে সংস্কৃত অভিধান চর্চার নিদর্শন হিসেবে উল্লেখযোগ্য। ১৭৪৩ খ্রিষ্টাব্দে পর্তুগালের লিসবন শহর থেকে রোমান হরফে মুদ্রিত একটি বাংলা-পর্তুগিজ দ্বিভাষিক অভিধান প্রকাশিত হয়। এটির নাম Vocabulario em Idioma Bengalla e Portuguez এবং রচয়িতা মানোএল দা আস্সুম্পসাঁউ। এরপর ১৭৮৮ সালে রোমান হরফে মুদ্রিত আরও দুটি অভিধান বের হয়। একটির নাম Indian glossary ও অপরটির নাম The Indian Vocabulary, প্রথম বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক অভিধানের নাম করতে হলে এ দুটোর নাম করতে হয়। বাংলা হরফে লিখিত প্রথম বাংলা অভিধানের নাম ‘ইঙ্গরাজি ও বাঙ্গালি বোকেবিলরি’ যার ইংরেজি শিরোনাম An Extensive Vocabulary, Bengalese and English এর প্রকাশকাল ১৭৯৩। পর্তুগিজ ও ইংরেজি ব্যতীত আরও কয়েকটি ভাষা যেমন ফরাসী, খাসিয়া, কুকি, ত্রিপুরা, উড়িয়া প্রভৃতি ভাষায় বাংলার দ্বিভাষিক অভিধান রচিত হয়েছে। উইলিয়াম কেরি বিরচিত দুই খণ্ডে সংকলিত A Dictionary of the Bengalee Language নামের অভিধানটিতে বাংলা ভাষায় আধুনিক অভিধান রচনার প্রথম প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। মূলত শব্দের মূলের ওপর ভিত্তি করে তিনি এ অভিধান রচনা করেন। এতে বিপুল সংখ্যক সংস্কৃত শব্দ সন্নিবেশনের চেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। এই অভিধানের দুটো খণ্ড যথাক্রমে ১৮১৮ ও ১৮২৫ সালে প্রকাশিত হয়। ভারত বিভাগের পূর্ব পর্যন্ত নানা রকমের দ্বিভাষিক অভিধান প্রকাশিত হতে থাকে। দেশ বিভাজনের পরে আশুদেব দেব (A.T. Dev) কর্তৃক সম্পাদিত Students’ Favourite Dictionary অভিধানটি বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। একই সময় সংসদ প্রকাশনীর বাংলা-বাংলা ও বাংলা-ইংরেজি অভিধানগুলোও শিক্ষিত জন কর্তৃক বিপুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। বাংলা অভিধান রচনায় দুটো গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল বাঙ্গালা ভাষার অভিধান ও বঙ্গীয় শব্দকোষ। প্রথমটির সংকলনকর্তা জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস, দ্বিতীয়টির হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি অভিধান প্রত্যেকের দীর্ঘ বৎসর ধরে গবেষণার ফল।

১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি অভিধান গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রথমেই তিন খণ্ডে বাংলা ভাষার একটি অভিধান রচনার পরিকল্পনা নেয় একাডেমি যার প্রথম খণ্ড আঞ্চলিক ভাষার অভিধান, দ্বিতীয়টি ব্যবহারিক বাংলা অভিধান ও তৃতীয়টি বাংলা সাহিত্যকোষ। ১৯৬৫ সালে ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র সম্পাদনায় আঞ্চলিক ভাষার অভিধান প্রকাশিত হয়। ব্যবহারিক বাংলা অভিধানের স্বরবর্ণ অংশ প্রকাশিত হয় ১৯৭৪ সালে আর ব্যঞ্জনবর্ণ প্রকাশিত হয় ১৯৮৪ সালে। ব্যবহারিক বাংলা অভিধান বাংলা ভাষায় অভিধান চর্চার একটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত। বাংলা একাডেমি থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর কালানুক্রম চিহ্নিত করার জন্য একটি উপকারী অভিধান। তবে সত্যিকার অর্থে আধুনিক অভিধান বলতে যা বোঝায় বাংলা ভাষায় তা আজও ‘দিল্লী হনুজ দূর অস্ত’-এর মতো। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আরও গবেষণার মাধ্যমে বাংলা ভাষা তার আধুনিক অভিধান পাবে।
বিভিন্ন ভাষার অভিধান পেতে ক্লিক করুন।
লিখেছেন- ইসফানদিয়র আরিওন
সহকারী পরিচালক, বাংলা একাডেমি।
comments (0)