পড়াশুনার গন্ডি না পেরিয়েই যাঁরা আজ সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে তাদেঁর সাথে মূলত আজ আমাদের আলাপচারিতা । কিছু নির্দিষ্ট জিনিস প্রকৃতিগতভাবে বা পরিবেশগতভাবে হোক আমাদের জীবনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সঞ্চালক হিসেবে ভূমিকা রাখে । পাঠ্যগত শিক্ষা আবশ্যক তবে বাধ্যগত নয় । স্বশিক্ষিত হওয়ার লক্ষ্যে যাঁরা দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, আজ সময় তাদেঁর সাথে কিছুটা পথ চলার ।

বিল গেটস
তিনি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তাঁকে বলা হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন বিল। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান তিনি। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশায় তিনি ১৯৭৫ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাম কাটান। ড্রপ আউট হওয়ার ৩২ বছর পরে ২০০৭ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিল গেটসকে অনারারি ডিগ্রি প্রদান করে। একই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিল গেটস।
বিল গেটস (দ্যা গ্রেটেস্ট এনট্র্যাপ্রেনার অব সফটওয়্যার) বইটি পড়তে পারেন ।

স্টিভ জবস
অ্যাপল–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রযুক্তি বিস্ময় স্টিভ জবস ছিলেন কলেজ ড্রপ আউট। হাইস্কুলের পড়াশোনা শেষে ১৯৭২ সালে রিড কলেজে ভর্তি হন স্টিভ। কিন্তু কলেজটি ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারেননি। ছয় মাসের মধ্যে নাম কাটা যায় তাঁর। নামা কাটার পরেও ১৮ মাস সেই কলেজের ডর্মের বন্ধুর রুমে থাকতেন। ডিগ্রি নেই তো কী হয়েছে, স্টিভ জবস ২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন। স্টিভ জবসের জীবনাবসান হয় ৫ অক্টোবর ২০১১ সালে।

মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে বসে বন্ধুদের নিয়ে তৈরি করেন ফেসবুক। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ আউট হন তিনি। ফেসবুক এখন বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। জাকারবার্গ ২০১১ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে সমাবর্তন বক্তব্য দেন ।
মার্ক জাকারবার্গ সাকসেস সিক্রেট (হার্ডকভার) বইটি পড়তে পারেন ।

হেনরি ফোর্ড
ফোর্ড মটরস এর প্রতিষ্ঠাতা ,১৮৬৩ সালে জুলাই এর ৩০ তারিখে মিশিগানের গ্রিন ফিল্ডে জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন আইরিশ আর মা ব্রিটিশ। জীবনের প্রথম কাজ ঘড়ি মেরামতকারী হিসেবে শুরু করলেও লেখা-পড়া খুব একটা করা হয়ে উঠেনি তাঁর। ১৬ বছর বয়সেই পড়াশুনার পাঠ চুকান তিনি।
Henry Ford – My Life and Work বইটি পড়তে পারেন ।

শচীন টেন্ডুলকার
পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ২৪ এপ্রিল, ১৯৭৩ সালে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের সাথে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচ খেলা এই খেলোয়াড়ের ইন্ডিয়া – পাকিস্তান সিরিজের কারণে এস.এস.সি পরীক্ষায় আর অংশগ্রহন করা হয়নি। পড়াশুনা থেকে দূরে সরে গেলেও ধীরে ধীরে তিনি হয়ে উঠলেন ক্রিকেটের মাস্টার-ব্লাস্টার।
My Autobiography : Playing It My Way (Paperback) বইটি পড়তে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ
১৩ শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী যারা বিশ্বকে পরিবর্তন করেছেন সর্বশ্রেষ্ঠতার জন্য ।
বিশ্বসেরা বিলিওনিয়ারদের নিজের লেখা ২৫ বই !
পেপসিকোর সিইও থাকাবস্থায় ইন্দ্র নওয়ীর অর্জিত ৮ শিক্ষা
বিশ্বসেরা ২০ জনঃ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাব যাদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি