দেখতে দেখতে বি সি এস পরীক্ষার সময় কিন্তু ঠিক এগিয়ে আসছে। আর যারা যারা বিসিএস পরিক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক বা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিয়েছে তাদের মধ্যে প্রায় সবারই বই নিয়ে কিছু দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করে। এত এত বইয়ের ভিড়ে কোন কোন বই অনুসরণ করা যায় অথবা কোন বইয়ের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়!! পরিক্ষার্থীদের সেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দূর করার চেষ্টার্থে আজকের এই ব্লগটি। ৪১ তম বি সি এস প্রিলি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে যে বইগুলো লাগবেই তার একটি তালিকা পরিক্ষার্থীদের জন্য। তাই পরিস্থিতিকে ইতিবাচক শক্তি করে প্রস্তুতি নিতে থাকুন পুরোদমে। সাফল্য আসবেই…
১. ৪১তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট
– প্রফেসরস প্রকাশনী
আসলে বিসিএস প্রস্তুতির শুরু থেকে সবার পছন্দের এবং কমন একটি বই প্রফেসরস প্রিলিমিনারি ডাইজেস্ট। পূর্নাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য এটা দিয়েই শুরু করতে পারেন। যে কোন বিসিএস ক্যাডার বা যারা সিরিয়াসলি বিসিএস এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা প্রথমেই এই বই সাজেস্ট করবেন।
প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা বই সংগ্রহ করতে চাইলে অনেক বিস্তারিত জানতে চাইলে সেটা করাই যায়। এক বইয়ে সবকিছু পাওয়ার যেমন সুবিধা আছে তেমনি প্রস্তুতি নেয়া যায় কম সময়ে সহজে।
২. বিসিএস প্রিলিমিনারী অ্যানালাইসিস
– গাজী মিজানুর রহমান
লেখক নিজে ৫টি বিসিএস পরীক্ষায় পাস করেছেন। তার এতদিনের সব অভিজ্ঞতা ঢেলেই লিখেছেন বিসিএস প্রিলিমিনারী অ্যানালাইসিস। তাই বইটিতে বিসিএস সিলেবাসের ১২টি সাবজেক্টের সকল প্রিলিমিনারী প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও সমাধানগুলোই এখানে দেয়া হয়েছে। আর এটাই বইটিকে আলাদা বৈশিষ্ট্য দিয়েছে।
ইংরেজি’র জন্য যে বইগুলো পড়বেন ।
১. Advanced Learners HSC Communicative English Grammar-Second Paper
– Advanced Publication
২. English Tutor
– Kabial Noor
প্রিলির জন্য উপযোগী (গ্রামার)
১) বিসিএস প্রিলির জন্য কম সময়ে যারা ভাল প্রস্তুতি নিতে চায় তাদের জন্য আদর্শ বই।
২) লেখকের ছাত্র পড়ানোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থাকায় তিনি বেশিরভাগ স্টুডেন্ট কোথায় ভুল করে তা বেশ ভালভাবেই বুঝে সেই পয়েন্টগুলো জোর দিয়েছেন। যেকারণে ই্ংরেজিতে যাদের বেসিক খুব দুর্বল তাদের জন্য বেশ সহায়ক হবে বইটি।
৩) শুধুমাত্র এই বইটি পড়ে অন্যকোন গ্রামার বিষয়ক সহায়কের সাহায্য নেয়ার সময় যদি কারও কমও থাকে তবু তিনি এই বইয়ের শেখানো ট্রিকসের মাধ্যমে নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে পরীক্ষা হলে গ্রামার এর প্রশ্নগুলো সলভ করতে পারবেন।
৪) টার্গেট ব্যাংক ও বিসিএস প্রিলির জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যাদের ইংরেজিতে বেসিক দুর্বল থাকায় তা দ্রুত সমাধানের উপায় খুঁজছেন
৩. ফরিদ আহমেদের জনপ্রিয় বই স্মার্ট ইংলিশ ১ ও ২ ও Exclusive Grammar And Freehand Writing (Bangla-English)
– ফরিদ আহমেদ
Exclusive Grammar And Freehand Writing (Bangla-English)
প্রিলি ও রিটেন উভয়ের জন্যই উপযোগী (গ্রামার) ১) ট্রান্সলেশন এবং গ্রামার এর রুল থাকায় শুধু বিসিএস নয় বরং ভর্তি এবং সবগুলো চাকরির পরীক্ষায় ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং এর কাজে আসবে। ২) গ্রামারের নিয়ম থাকায় বিসিএস এর প্রিলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩) দ্রুত শেখা যাবে এরকম শর্টকাট নিয়ম থাকায় সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারবে। ৪) টার্গেট অডিয়েন্স ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী।
বৃটিশরা আমাদের দেশ শাসন করে চলে গেছে ঠিক-ই কিন্তু তাদের ভাষার প্রয়োজনীয়তা রেখে গেছে। তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণা থাকলেও ইংরেজি ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা বজায় রাখতে-ই হয়। ইংরেজরা আজ আমাদের মাঝে নেই কিন্তু ইংরেজি ভাষা আমাদের মাঝে অনায়াসে-ই নিজেকে প্রচলিত করে চলছে।
ইংরেজি আমাদের জন্য আন্তর্জাতিক ভাষা হলেও- প্রায় ৩৮ কোটি মানুষের মুখের মাতৃভাষা। মাতৃভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।
ইংরেজি ভাষার শব্দভাণ্ডারের ৭০ শতাংশ বিদেশি উৎসজাত। বাকি ৩০ শতাংশ ইংরেজি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি, অ্যাংলো-স্যাক্সোন ও জার্মানীয় উৎসজাত। অ্যাংলো-সাক্সোন ও জার্মানীয় উৎসজাত শব্দগুলো খাঁটি ইংরেজি শব্দরূপে গণ্য হয়ে থাকে। ৮ম থেকে ১১শ শতাব্দীর কোন সময়ে রচিত বেওউলফ ইংরেজি ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। উইলিয়াম শেকসপিয়র ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক।
কথা হলো ইংরেজি নিয়ে! সেই ইংরেজি শিখতে “স্মার্ট ইংলিশ স্মার্ট ওয়ে টু লার্ন ইংলিশ” বইটি হতে পারে শ্রেষ্ট শিক্ষক।
১) বই এর পাশাপাশি ফ্রি অ্যাপ ব্যবহার করে স্মার্ট ইংলিশ শেখার জন্য আদর্শ বই, মেখার পাশাপাশি নিজেই নিজের দক্ষতা যাচাই করতে পারবেন এই বই এর মাধ্যমেই
২) ১০০ টি ইংরেজি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেজ দিয়ে বাক্য তৈরির প্রক্রিয়া রয়েছে, যার ফলে খুব দ্রুত এবং স্বল্প শব্দ ব্যয় করে স্মার্ট ইংরেজি বাক্য তৈরি করা সম্ভব।
৩) কোন পরিবেশে ইংরেজিতে কি বলতে হবে এবং স্মার্ট ডায়লগ এর ব্যবহার এর প্রক্রিয়া রয়েছে।
৪. ভোকাবুলারি-সহ পাসপোর্ট টু গ্রামার
– Saifur’s
যত Rule তত ভুল! আমি বলিনি সাইফুর স্যার নিজেই বলেছেন । কোথায় ing যুক্ত হবে, কখন s যুক্ত হবে এসব রুল মুখস্ত করে ইংরেজি মনে থাকবে না। তারচেয়ে প্রচুর উদাহরণ পড়ুন। অর্থ বুঝে প্রতিদিন পড়তে থাকুন। দেখবেন এমনিতেই আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন কখন কিভাবে কোন বাক্য হবে। তখন চাইলেও আপনি ‘I am go’ লিখতে পারবেন না। এটাই একটি ভাষা শেখার ন্যাচারাল সিস্টেম।
আপনি বিসিএস দিবেন? ভার্সিটি এডমিশন? এইচ এস সি? অথবা আপনার সিক্স এ পড়ুয়া বাচ্চার পরীক্ষা? সবার জন্যেই এই এক বই ভোকাবুলারি-সহ পাসপোর্ট টু গ্রামার। অর্থাৎ ফাউন্ডেশন কিন্তু সবার জন্য একটাই।
আর হ্যা এটার সাথে যদি ইংরেজিতে জিরো থেকে হিরো বইটি নিয়ে ক্যাপসুল আর পানির মত একসাথে খেয়ে নিতে পারেন তবে ইংরেজি ব্যাধি থেকে চিরতরে মুক্তি…
ভোকাবুলারিতে সবার বস হতে চাইলে আজই সাথে রাখুন- ভোকাবুলারি-সহ পাসপোর্ট টু গ্রামার
৫. চাকুরির ট্রান্সলেশন ও বড় বড় অনুবাদ
– Saifur’s
আমি ভাত খাই I eat rice-ছোটবেলায় শেখা এই সহজ অনুবাদগুলোই যদি চাকরির পরীক্ষায় আসতো তাহলে তো কথাই ছিল না। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় যেসকল প্যাসেজের অনুবাদ আসে সেগুলোর অনুবাদ করতে হলে সম্যক জ্ঞান থাকাও জরুরী। আরও জরুরী বিগত বছরগুলোতে আসা প্যাসেজগুলোর সঠিক অনুবাদ জানা। তাই সাইফুর স্যারের- ‘চাকুরির ট্রান্সলেশন ও বড় বড় অনুবাদ’ বইটির বিকল্প আসলে নেই। কারণ এই বইটিতে তিনি বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা অনুবাদগুলো খুব সহজ ভাষায় ও সুন্দর করে ব্যখাসহ এই বইটিতে বিন্যস্ত করেছেন। যেগুলো পড়লে আপনি শিখতে পারবেন একটি প্যাসেজের অনুবাদ কীভাবে করতে হয় এবং কী ধরণের অনুবাদ আসে এই পরীক্ষাগুলোতে। ট্রান্সলেশনে সবার বস হতে এখনই ক্লিক করুন নীচের দেয়া লিঙ্কে।
৬. An ABC of English Literature
– Dr M Mofizar Rahman
১) প্রাচীন ইংরেজি এর শব্দগুলোগুলোর অর্থসহ ব্যাখ্যা রয়েছে। সেইসাথে ওই শব্দগুলো বর্তমানের কোন কোন শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয় সেগুলোরও উল্লেখ রয়েছে।
২) সবগুলোরই জনরা এবং ঐতিহাসিকতা উল্লেখ করা রয়েছে। এবং সেই অনুযায়ী বইকে আলাদা আলাদা ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
৩) বিসিএস এর প্রস্তুতির জন্য লিটারেচার যারা বিশদ ভাবে পড়তে চায় এবং মনে রাখতে চায় তাদের জন্য দারুন সহায়ক হবে
বাংলার জন্য যে বইগুলো পড়বেন ।
১. এমপি থ্রী বাংলা
– এমপি থ্রি পাবলিকেশন্স
১) বেশিরভাগ বিসিএস ক্যাডারদের ব্লগে এই বইটি সাজেস্ট করা হয়। বিশেষ করে সুশান্ত পাল এবং গাজী মিজানুর রহমান এর ব্লগে উল্লেখ করা হয়েছে।
২) অন্যান্য বিসিএস প্রিলি বাংলা বইয়ের সাথে প্রধান পার্থক্য হল এতে খুব গুছিয়ে লেখা। শুধু গাদাখানেক বিসিএস এর প্রশ্নই দেয়নি বরং ব্যাখ্যাগুলো শর্ট এ বুঝিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে বাংলা ভাষার ইতিহাস অনেক বইয়ে যেমন গৎবাধা রচনা লেখা সেখানে বিষয়গুলো ফিগার দিয়ে সহজে বোঝানো হয়েছে। সাল, সময় মনে রাখা সহজ হয়। কারও সময় কম এবং সহজে বাংলা প্রস্তুতি নিতে হলে এই বইটা কেনা দরকার।
২. জয়কলি ৪১তম বিসিএস প্রিলি বাংলা সাহিত্য
– জয়কলি পাবলিকেশন্স লিঃ
আচ্ছা রোসাঙ্গ কী বলুনতো?
এ তো কেবল প্রাচীন যুগ থেকে দুটো প্রশ্ন করলাম। বাকি আছে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ আর আধুনিক যুগ। বিস্তারিত ইতিহাস পড়তে গিয়ে যদি হাঁপিয়ে ওঠেন কিংবা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এতো কিছু কিভাবে মনে রাখবেন তাহলে এই বইটি আপনার জন্য। গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো একসাথে পাবেন এবং সাহিত্য অংশে কমন পাবার সম্ভাবনাও অনেক বেশি।
রোসাঙ্গ উত্তর খুঁজছেন এখনো? এটি সহ আরও হাজারো অজানা শব্দ ও সাহিত্যের ইতিহাস জানতে বইটি অর্ডার করে ফেলুন এক ক্লিকে-
৩. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগ)
– মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল আলম এর লেখা বই। হ্যা যদি আপনি বিসিএস প্রিলি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেন তবে নিশ্চয়ই জানবেন বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি নিতে হলে এই বইটি লাগবেই। আমি বলছি না, একটু ঘাটাঘাটি করলেই বুঝবেন বইটি কেন দরকার। বাংলা সাহিত্যের ৩ টি যুগের সম্পূর্ণ বর্ণনা এখানে। সাহিত্য অংশ নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিতে এই একটা বই যথেষ্ট আশা করি।
৪. লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী
– হুমায়ুন আজাদ
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী বাংলাদেশী লেখক হুমায়ুন আজাদ রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি কিশোরসাহিত্য-গ্রন্থ। ১৯৭৬ সালের অক্টোবরে বাংলা একাডেমি ঢাকা থেকে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে ১৯৯৬ সালে পুনরায় হার্ডকভার এবং ২০০৯ সালে পেপারব্যাক সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
গণিতের জন্য যে বইগুলো পড়বেন ।
১. বিসিএস পাটিগণিত সমাধান
– দেবব্রত চাকী
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাটিগণিত রয়েছে। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাটিগণিত করে এরপর গ্রাজুয়েশন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন শেষ করতে করতে পাটিগণিত বা বীজগণিত, পুরো অংক বইই মাথা থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্ন হল পাটিগণিতের প্রয়োজন কি অষ্টম শ্রেণিতেই শেষ???
সহজভাবেই বলা যায় পাটিগনিতের প্রয়োজন হয় পড়াশুনা শেষ করার পর আরোও বেশি। আমরা যদি বিসিএস এর সিলেবাস বা মার্কস বণ্টন লক্ষ্য করি তবে এই প্রশ্নের উত্তর আরোও সহজ হয়ে যায়।
বিসিএস প্রিলিমিনারি তে ম্যাথ এ ১৫ মার্কসের মধ্যে ৩ মার্কস আসে পাটিগণিত থেকে। যেখানে প্রতিটা মার্কস খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় সেখানে ৩ মার্কস নিঃসন্দেহে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ন। বিসিএস রিটেন পরীক্ষার সময় গণিত কে বলা হয় ট্রাম্পকার্ড। আর পরীক্ষা হবে পাটিগণিত থাকবে না এমন তো হতেই পারে না তাই বিসিএস এর ট্রাম্পকার্ড বলা যেতে পারে এই পাটিগণিত কে। ঠাণ্ডা মাথায় পাটি গণিত প্রাকটিস করলে খুব দ্রুতই শিখে ফেলা সম্ভব। বিসিএস ছাড়াও বাংলাদেশের যাবতীয় সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পাটিগণিত থাকবেই তাই পাটিগণিত অবশ্যই করতে হবে।
পাটিগণিতের প্রয়োজনীয়তা বোঝার পর আমাদের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে কিভাবে প্রস্তুতি নিব?
এই প্রশ্নের সহজ এবং সবচেয়ে সুন্দর উত্তর হল “বিসিএস পাটিগণিত সমাধান”। বইটি লিখেছেন দেবব্রত চাকি। প্রতিটা বিষয় এত সুন্দর করে ডিটেইল করে দেওয়া হয়েছে যে, এই বইয়ের প্রতিপক্ষ ও স্বীকার করবেএবং প্রশংসা করতে বাধ্য হবেন।
তাই, যদি আপনি যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসতে চান এবং চাকরী নামক সোনার হরিণের দেখা পেতে চান তাহলে এখনি বইটি সংগ্রহ করে প্রাকটিস করা শুরু করে দিতে পারেন।
তাহলে আর দেরি কেন?
২. খায়রুলস বেসিক ম্যাথ
– মোঃ খাইরুল আলম
যারা বিসিএস বা বিভিন্ন চাকরী প্রত্যাশী তাদের মনে সবসময় একটা কমন প্রশ্ন থেকেই থাকে। তা হল “ম্যাথের জন্য কোন বই কিনে প্রিপারেশন নেওয়া শুরু করবো?”
আর যারা বইয়ের সাজেশন দিয়ে থাকেন তাদের লিস্টে কমন ছিল একটা বই এবং তা হল খায়রুলস বেসিক ম্যাথ। ঘরে বসে গণিত শেখার অনন্য সহায়িকা ।
বিসিএস+পিএসসি নিয়োগ+ব্যাংক+শিক্ষক নিবন্ধন+প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ+বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সহ- যে কোন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার গণিতের অপ্রতিদবন্থী বই।
কিন্তু কেন? কি আছে এই বইয়ে??
- সাধারণ বইয়ের মত শুধু অংকের সমাধান নয় বরং কিভাবে অংক করতে হবে তা বুঝিয়ে দেয়া আছে।
- একই নিয়মের এক জাতীয় অংকগুলো একসাথে সুবিন্যস্ত করা রয়েছে।
- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর গণিত বইগুলোর বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রয়োজনীয় অংকগুলো সহ যে কোন চাকুরির।
- পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংকগুলোকে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে।
- ব্যতিক্রম অংকগুলোর সাইড নোট প্রদান করা হয়েছে
- কয়েক সেকেন্ডে অংক করার বিভিন্ন কৌশল প্রন করা. হযেছে
- সৃত্রবিহীন বুঝে বুঝে দ্রুত অংক করার টেকনিক
- প্রতিটি নিয়মের সাথে সাম্জস্যপূর্ণ ইংরেজি অগ্কু স্
- প্রতিটি অধ্যায় শেষে প্রয়োজনীয় লিখিত এ্থ ব্যা্ীঘ্ডুহ
- চিত্র সহ জ্যামিতি অংশের সহজ সমাধান গর
- বিগত বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন ও ব্যাখ্যা সহ সমাধান সংযোজন করা হয়েছে।
সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হল :৫-১০ সেকেন্ডে শুধু নির্দিষ্ট কিছু অক করার কোন অকল্পনীয় যাদু নয় বরং বুঝে বুঝে যে কোন অংক সবথেকে কম সময় নিয়ে কিভাবে করা যায় তার কৌশল দেখানো হয়েছে।
৩. Saifurs: Math
– Saifur’s
সাইফুরস ম্যাথ বইটি চাকরি প্রস্তুতির বইগুলিতে সর্বকালের সেরা বিক্রিত বই। এই বইটিতে সমস্ত গণিতের কৌশলগুলি নিয়ে খুব সহজ ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে । বইটির লেখক সাইফুর রহমান খান শুধু কোচিং সেন্টার পরিচালনাই করেন না, তিনি ইংরেজি ব্যাকরণ, ভোকাবুলারি, তত্ত্বীয় ধারণা ট্রান্সলেশন এন্ড রাইটিং, সাইফুর’স: ম্যাথ, ফোরজি নিউয়েষ্ট গ্রামার, সাইফুর’স: জ্যামিতি, ভার্সিটি ম্যাথ = পানি ইত্যাদি বিষয়ক প্রচুর বই লিখেছেন। গণিত শিক্ষা বিষয়ক বই সাইফুরস ম্যাথ চাকরির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বই। নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক বই সাইফুরস ম্যাথ চাকরির প্রস্তুতির জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণে অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে।
বিসিএস গণিত প্রস্তুতিমূলক বই সাইফুরস ম্যাথ সর্বদা শিক্ষার্থীদের সহজেই শিখতে সহায়তা করে। বিসিএস প্রস্তুতিমূলক বই সাইফুরস ম্যাথ এর অনেক অনেক রিভিউও আছে। যেমন- “খুব সম্ভবত একেই বলে একের ভেতর অনেক। অর্থাৎ এই বইটিতে অঙ্কগুলো অধ্যায়ভিত্তিক খুবই চমৎকারভাবে সাজানো রয়েছে। ব্যংক এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি ম্যাথ আসে। অনেকে বাংলায় লেখা অংকগুলো সহজে বুঝলেও ইংরেজিতে সোজা অংকও ভুল করে। সেক্ষেত্রে এই বইতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিও দেওয়া আছে। যা বিশেষ উপকার করবে। বিস্তারিত ব্যাখা দেওয়া আছে। বুঝতে অসুবিধা কমই হওয়ার কথা। ”
তাই প্রস্তুতি নেওয়ার এখনি সঠিক সময়। আপনার বইটি এখনি সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিন।
৪. Math Q Bank
– Mentor’s education Series
এই বইটি বেস্ট সেলার তালিকায় ৩য় স্থান দখল করে আছে। তার মানে এই বইটি কতটা উপকারী এবং কী পরিমাণ প্রয়োজনীয় তা বুঝাই যাচ্ছে।
এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, এই বইটি কারা পড়বে, কেন পড়বে?
উপরের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন করা প্রয়োজনীয়। যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তবে এই বইটি অবশ্যই আপনার জন্য।
• আপনি কি আইবিএ তে ভর্তি / ব্যাংকে চাকরীর জন্য প্রস্তুতি নিতে চান?
• আপনি কি অ্যাডভান্স লেভেলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
• যে পরীক্ষাগুলো ইংরেজিতে হয় আপনি কি সেগুলোতে অংশ নিবেন?
আপনি যদি উপরের প্রশ্নের সাথে একমত হন তবে বইটি আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। আইবিএ এর বিবিএ-এমবিএ, গত ২০ বছরের গণিতের প্রশ্নের সমাধান ব্যাংক চাকরী, সরকারী খাতের চাকুরী, ভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষা সবকিছুই আছে এই বইয়ে।
৫. MP3 Math Review
– MP3 Publications
এই বইটিকে খাইরুল স্যার এর বইয়ের পরে অনেকে স্থান দিয়েছেন।
• এই বইটিতে জুনিয়র লেভেল থেকে শুরু করে এডভান্স লেভেলের অংক রয়েছে।
• ডিটেইলস বুঝানোর পাশাপাশি আগের বছর গুলোর প্রশ্ন অ্যাড করা আছে।
• প্রাকটিস করার জন্য প্রশ্ন দেওয়া আছে। • বুঝার সুবিধার্থে ডিটেইলস লেখা আছে।
• কোন বছরে কোশ্চেন গুলো আসছে তার উল্লেখ আছে তাই বইটি বেশি হেল্পফুল।
সাধারণ জ্ঞান এর জন্য যে বইগুলো পড়বেন ।
১. জোবায়ের’স GK (সাধারণ জ্ঞান)
– জোবায়ের আহমেদ
বিসিএস ও সরকারি-বেসকারি বিভিন্ন পদে চাকরি প্রার্থীদের বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সাধারণ জ্ঞানে ভালো করার জন্য আদর্শ একটি বই।
যেকোন পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান একটা কমন বিষয়। অনেক কিছু জানা থাকার পরেও আমরা সঠিকভাবে উত্তর করতে পারিনি, কিংবা সময়ের জন্য হয়তো পুরো সিলেবাস শেষ করতে পারিনা। আবার পরীক্ষায় কি ধরনের প্রশ্ন আছে সেটাও হয়তো আমরা অনেকে জানিনা। সব কিছুকে সহজ করতে ও সহজে মনে রাখতে জোবায়ের’স GK বইটি আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে। চাইলে আপনার সংগ্রহে রাখতে পারেন বইটি।
২. জয়কলি ৪১তম বিসিএস প্রিলি বাংলাদেশ বিষয়াবলি
– জয়কলি পাবলিকেশন্স লিঃ
৩. এমপি থ্রী আন্তর্জাতিক
– এমপি থ্রি পাবলিকেশন্স
অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রস্তুতি কিছুটা শেষ হয়ে এলেও সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত পড়তে হয়। কারণ এর বিস্তৃতি এত বেশি যে শেষ করা কঠিন। তবুও বিভিন্ন প্রশ্ন ও সাজেশন থেকে কিছুটা ধারণা করা যায়। সেই সাথে খোঁজ রাখতে হয় বর্তমান দিনকালের। আর হ্যা সাধারণ জ্ঞানের প্রস্তুতি কিন্তু শেষে নিলে চলবে না শুরু করতে হবে এখন থেকেই। একটু একটু করে এগোতে হলে এখনই ক্লিক (লিংক) করে অর্ডার করে ফেলতে হবে…
৪. জয়কলি ৪১তম বিসিএস প্রিলি কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি
– অজয় সরকার
১) বিসিএস, পিএসসি, ব্যাংক, শিক্ষক নিয়োগ এবং অন্যান্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধানের উপযোগী করে বইটি রচিত।
২) বিসিএস ও ব্যাংক পরীক্ষার বিগত বছরের প্রশ্নসমুহের সঠিক সমাধান।
৩) প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় কম্পিউটার এর যেসব চ্যাপ্টার থেকে সর্বাধিক প্রশ্ন থাকে, সে সকল চ্যাপ্টার এর তথ্যবহুল আলোচনা।
৪) বিগত বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নির্ভুল ব্যাখ্যাসহ প্রশ্ন সমাধান উপস্থাপন।
৫) জয়কলি কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি এমসিকিউ বইটি দিচ্ছে সকল ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার কম্পিউটার এমসিকিউ অংশে ভাল করার নিশ্চয়তা।
৬) এছারাও এস এস সি পর্যায়ে বিভিন্ন বোর্ডে আসা কম্পিউটার সম্পর্কিত ৮ শতাধিক প্রশ্নের সমাধান সংজুক্ত করা হয়েছে এই বইটিতে।
সকল বি সি এস পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভ কামনা এবং উপরে উল্লেখিত