সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু কৌতূহল জাগানিয়া ব্যাপারের মধ্যে একটি হলো-যে কোন বিপজ্জনক কিছুর জন্য বৈধতা বা অনুমতির দরকার হয়। যেমন- গাড়ি চালাতে শেখা, বন্দুক কেনা, বিয়ে করা।
আসলেই তা সবকিছুর ক্ষেত্রে সত্যি, কেবলমাত্র প্রযুক্তি ছাড়া। কিছু কারণে এর জন্য কোন আদর্শ সিলেবাস নেই, কোন প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেই। কেউ আপনাকে শেখানোর জন্য বসেও থাকে না যে বলবে, “এই যে এভাবে এটা কাজ করে।” তাই আজ আমি আপনাদের এমন কিছু জিনিস বলতে যাচ্ছি, যা আপনারা ভাবতেন সবাই জানে, কিন্তু আসলে অনেকেই জানে না। অথচ এই জিনিসগুলো মনে রাখলে আপনি বাঁচাতে পারেন আপনার মূল্যবান সময়ের অনেকখানি।
১। ওয়েব পেইজে স্পেসবার চাপুন
ঠিক আছে, আপনি যখন ওয়েবে নিচে নামতে চান, মাউস ধরে স্ক্রলবার ব্যবহার করবেন না। এটা একটা ভয়াবহ সময় নষ্টের ব্যাপার। এর পরিবর্তে স্পেসবার চাপুন। স্পেসবার আপনাকে এক পেইজ নিচে নিয়ে যাবে। শিফট বোতামটা চেপে ধরে থাকুন উপরের পেইজে যেতে। সুতরাং এক পেইজ নামতে স্পেসবার। এটা যে কোনো কম্পিউটারের যে কোনো ব্রাউজারে কাজ করবে।
২। পপ-আপ মেনু ওপেন না করেই কাঙ্ক্ষিত জিনিস খুঁজে বের করুন
এছাড়াও, ওয়েবে আপনি যখন এরকম কোনো ফর্ম পূরন করছেন যেখানে আপনার ঠিকানা দিতে হচ্ছে, আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ট্যাব বোতামটায় চাপ দিয়ে কিভাবে এক বক্স থেকে অন্য বক্সে যেতে হয় তা জানেন। কিন্তু যেই পপ-আপ তালিকা এসে পড়ে, আপনি তাতে আপনার কাঙ্ক্ষিত টপিকটি খুঁজতে শুরু করেন। পপ-আপ তালিকা খুলবেন না। এটা আপনার ক্যালরির এক ভয়াবহ অপচয়! আপনার বিভাগের নামের প্রথম অক্ষরটি লিখুন, যতক্ষণ না পাচ্ছেন, ততক্ষণ লিখতে থাকুন। সুতরাং আপনি যদি ‘কানেক্টিকাট’ চান, CCC লিখুন, সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন; পপ-আপ মেনু ওপেন করার ঝামেলায় যেতেই হবে না।
৩।ওয়েব পেইজ জুম ইন বা আউট করতে ‘Ctrl’ key ব্যবহার করুন
এছাড়া ওয়েবে, যখন লেখাগুলো খুবই ছোট, আপনি যা করতে পারেন তা হচ্ছে কন্ট্রোল বোতাম ধরে থেকে চাপ দিন প্লাস, প্লাস, প্লাস। যতবার প্লাস চাপ দিবেন তত বার লেখা বড় হতে থাকবে। এটা সব কম্পিউটারেই কাজ করে, সব ওয়েব ব্রাউজারে, অথবা মাইনাস, মাইনাস, মাইনাস; যদি আবার ছোট পেতে চান। আপনি যদি অ্যাপল এর ম্যাক ব্যবহার করেন, কন্ট্রোলের বদলে কমাণ্ড ব্যবহার করবেন।
৪।দাঁড়ি লিখতে যতিচিহ্ন লে-আউটে যাবার প্রয়োজন নেই
আপনি যখন ব্ল্যাকবেরী, অ্যাণ্ড্রয়েড, আইফোন থেকে লিখছেন আপনার যতিচিহ্ণ লেখার জন্য যতিচিহ্ন লে-আউটে যাবার দরকার নেই। শুধুমাত্র স্পেসবারটা দুইবার চাপুন। ফোন আপনার হয়ে পিরিয়ড, স্পেস এবং বড় অক্ষর বসায়। শুধু স্পেস, স্পেস। এটা সত্যি চমৎকার!
৫। কললিস্টে যাওয়া ছাড়াই শেষ বার কথা বলা ব্যক্তিকে ফোন করুন
মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে, সকল ফোনেই, আপনি যদি কাউকে আবার ফোন করতে চান যাকে আপনি আগে ফোন করেছিলেন, কল বোতামে চাপ দিন। এটা আপনার শেষ ফোন নাম্বারকে বক্সে এনে দেয়। এই সময় আপনি আবার কল বোতামে চাপ দিন, দেখবেন ফোন যাচ্ছে। তাই সাম্প্রতিক কললিষ্টে যেতে হবে না, আপনি যখন কাউকে ফোন করতে চাচ্ছেন, শুধুমাত্র কল বোতামে চাপ দিন।
৬। শব্দের অর্থ জানতে ‘Google define’ ব্যবহার করুন
আমরা মনে করি, গুগল হচ্ছে যেকোন ওয়েবপেজ দেখার জন্য, কিন্তু তা অভিধান হিসেবেও কাজ করে। যেমন ‘define’ শব্দটি লিখুন এবং এরপর যে শব্দটি সম্পর্কে আপনি জানতে চান তা লিখুন। আপনার কিন্তু কোন কিছুতে ক্লিকও করতে হবে না। সংজ্ঞা যখনই আপনি টাইপ করছেন এসে পড়েছে। এ ছাড়াও এটি একটি সম্পূর্ণ এফএএ ডাটাবেজ। এয়ারলাইনের নাম এবং ফ্লাইটের নাম টাইপ করুন। আপনি দেখতে পাবেন ফ্লাইটটি কোথায়, দেখতে পাবেন এর গেট নাম্বার, টার্মিনাল নাম্বার, কতক্ষণে তা অবতরণ করবে। আপনার কোন অ্যাপের দরকার নেই। এটা আবার একটি একক এবং মুদ্রা রূপান্তর। আবার, আপনাকে যে কোন ফলাফলে ক্লিক করতে হবে না। খালি বক্সটাতে টাইপ করুন আর উত্তর পেয়ে যান।
৭। শব্দ হাইলাইট করতে মাউস বাটন ড্র্যাগ করার প্রয়োজন নেই
আপনি যখন একটি শব্দকে হাইলাইট করতে চান, দয়া করে একজন শিক্ষানবিসের মত মাউস টেনে নিজের জীবনটা নষ্ট করবেন না। দুইবার ক্লিক করুন শব্দটিতে। একদম নিঁখুতভাবে শব্দটি সনাক্ত হবে। এবার যা হাইলাইট করেছেন তা মুছে ফেলবেন না। আপনি তার উপরেই সরাসরি টাইপ করতে পারবেন।
একটি চমৎকার দিন উপভোগ করুন। ধন্যবাদ। 😀
(TED TALK-এ দেয়া ডেভিড পোগ-এর বক্তৃতা থেকে অনুবাদ)
আরও পড়ুন- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর বেসিক জ্ঞান
বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি বিষয়ক বইগুলো দেখুন
রকমারি থেকে পরিবেশিত প্রযুক্তি টিমের কোর্সসমূহ দেখুন